মুর্শিদাবাদ/মালদা, 17 অগস্ট: আরজি করে পড়ুয়া চিকিৎসকের মৃত্যুতে তোলপাড় রাজ্য ৷ জনবিক্ষোভের আঁচ ছড়িয়ে পড়েছে একাধিক দেশেও ৷ সেই আবহে এবার জঙ্গিপুরের তৃণমূল বিধায়কের ফার্মাসি কলেজের হস্টেলে প্রথম বর্ষের এক ছাত্রের অস্বাভাবিক মৃত্যু নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে ৷ ওই ছাত্রের অভিভাবকের অভিযোগ, পরিকল্পনামাফিক তাঁর ছেলেকে খুন করা হয়েছে ৷ এ নিয়ে তাঁরা স্থানীয় থানায় অভিযোগ দায়ের করতে গেলেও পুলিশ তাঁদের অভিযোগ জমা নেয়নি বলেও অভিযোগ উঠেছে ৷ এই পরিস্থিতিতে পরিবার আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার চিন্তাভাবনা শুরু করেছেন ৷
জানা গিয়েছে, মৃত ছাত্রের নাম তহীদ করিম ৷ বাড়ি ইংরেজবাজার ব্লকের যদুপুর এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের কমলাবাড়ি গ্রামে ৷ মুর্শিদাবাদের মিয়াঁপুরে তৃণমূল বিধায়ক জাকির হোসেনের জাকির হোসেন ইন্সটিটিউট অফ ফার্মাসি কলেজ পড়াশোনা করতেন ৷ গত 13 অগস্ট এই কলেজেরই হস্টেল থেকে উদ্ধার হয় তহীদের দেহ ৷ খবর পেয়ে তহীদের দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায় রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ ৷ কিন্তু অদ্ভুত বিষয়, তহীদের মৃত্যুর দীর্ঘ সময় পরও অভিভাবকদের সেই খবর দেওয়া হয়নি ৷ এতেও প্রশ্ন তুলেছে পরিবারের লোকেরা ৷ যদিও জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার সুপার আনন্দ রায় বলেন,"আমার কাছে খবর আছে, মৃত ছাত্রের পরিবার আজ রঘুনাথগঞ্জ থানায় অভিযোগ করতে যাচ্ছেন ৷
তহীদের বাবা রেজাউল করিম পেশায় লরিচালক ৷ তাঁর বক্তব্য, "13 তারিখ রঘুনাথগঞ্জের দিকেই আমার লরি নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল ৷ স্ত্রী রাতে ছেলের সঙ্গে কথা বলে ৷ কিছু জিনিস ছেলে চেয়েছিল ৷ পরদিন সকালে স্ত্রী ছেলেকে ফোন করলেও ছেলে ফোন ধরেনি ৷ বিকেল নাগাদ স্ত্রী আমাকে ফোন করে জানায়, ছেলে তখনও ফোন করেনি ৷ রাত ন’টা নাগাদ আমি ছেলের কলেজে যাই ৷ তার আগেই হস্টেল সুপারের সঙ্গে কথা হয় আমার ৷" মৃতের বাবার দাবি, "কলেজে পা দিতেই স্ত্রী ফোন করে জানায়, ছেলে নাকি মারা গিয়েছে ৷ হস্টেলের তিনতলায় গিয়ে দেখি, ছেলের মৃতদেহ মেঝেতে শুইয়ে রাখা হয়েছে ৷ হস্টেল সুপার আমাকে ছেলের মৃত্যুর ব্যাপারে কিছু জানাননি ৷ ছেলের বাম চোখে রক্ত জমে ছিল ৷ শরীরে আঘাতের চিহ্ন ছিল ৷ পরে পুলিশ ছেলের দেহ থানায় নিয়ে যায় ৷"