কলকাতা, 3 অগস্ট: দক্ষিণ কলকাতার সংযুক্ত এলাকা বেহালায় সখেরবাজারে 47 বছরের এক ব্যক্তি ম্যালেরিয়া আক্রান্ত হন ৷ সম্প্রতি এমআর বাঙুর হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয় ৷ তারপরেও হুঁশ নেই কলকাতা পুরনিগম কর্তৃপক্ষের ৷ এদিকে কলকাতার আরেক প্রান্তে গৌরী বাড়ি ব্রিজের নীচে পড়ে রয়েছে আবর্জনার স্তূপ ৷ আর সেখানেই বৃষ্টির জল জমে ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়ার রোগ ছড়ানো মশার আঁতুড় ঘর হয়ে রয়েছে ৷
পুরনিগমের জঞ্জালে মশার লার্ভা মেলার অভিযোগ ৷ (ইটিভি ভারত) গৌরী বাড়ি ব্রিজ এলাকায় পৌঁছে গিয়েছিল ইটিভি ভারত ৷ সেখানে গিয়ে দেখা যায়, ব্রিজ থেকে চুঁইয়ে পড়ছে জল ৷ আর সেই জল জমা হচ্ছে, ব্রিজের নীচের ফাঁকা অংশে ৷ সেখানে বিভিন্ন ব্যানার, পোস্টার রাখা রয়েছে ৷ অভিযোগ সেগুলি মূলত, কলকাতা পুরনিগমের জমা করে রাখা আবর্জনা ৷ আর সেই আবর্জনায় বৃষ্টির জল জমে, মশার ডিম পাড়ার উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি হচ্ছে ৷ এমনকী মশার লার্ভাও ভাসছে সেই জমা জলে ৷
আর তারই সঙ্গে আশপাশের জনবসতিতে বাড়ছে জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৷ তেমনই জ্বরে আক্রান্ত এক যুবকের রক্ত পরীক্ষার রিপোর্টে ম্যালেরিয়া পজিটিভ এসেছে ৷ আর তারপরেই ওই এলাকায় মানুষের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে ৷ তবে, ওই যুবকের ম্যালেরিয়ার পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসতেই নড়েচড়ে বসেছে পুর প্রশাসন ৷ তাঁর বাড়িতে গিয়ে হাজির হয়েছে, পুরনিগমের মেডিক্যাল টিম ৷
ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত ওই যুবক সুদীপ্ত বসু চৌধুরী ৷ তিনি আবর্জনায় ভর্তি গৌরী বাড়ি ব্রিজের উলটো দিকের বাড়ির বাসিন্দা ৷ তাঁর কথায়, "আগে খোঁজ মেলেনি ৷ যেভাবে এই সময় আবর্জনা মুক্ত রাখা দরকার, তেমনটা নিয়মিত হয় না ৷ আজ ম্যালেরিয়া হয়েছে, তারপর বাড়িতে এসে পুরনিগমের স্বাস্থ্য কর্মী খোঁজ নিয়েছে, ওষুধ দিয়েছে ৷"
এই প্রসঙ্গে ডেপুটি মেয়র ও স্বাস্থ্য বিভাগের মেয়র পারিষদ অতীন ঘোষ বলেন, "আমরা মশাকে উৎস স্থলে বিনাশ করার কাজ করি ৷ সাতদিন সময় লাগে লার্ভা থেকে মশা হতে ৷ আমরা চেষ্টা করছি সাতদিনের মধ্যে প্রতি জায়গায় পৌঁছানোর ৷ যেখানে পারছি না, সেখানে বিশেষ একটা কেমিক্যাল, সেটা স্প্রে করছি ৷ 14 দিন সেখানে মশা আর ডিম পারবে না ৷ সেই কাজটাও করছি, কারণ অনেক সময় কর্মীর অভাবে 7 দিনের মধ্যে সব জায়গায় পৌঁছানো যায় না ৷ তখন সেখানে এই কেমিক্যাল ব্যবহার করি ৷ তবুও, কলকাতার ভৌগোলিক পরিবেশে আমাদের তীব্র লড়াই করতে হয় ৷"