দার্জিলিং, 14 ফেব্রুয়ারি:পরীক্ষা চলাকালীন মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর রহস্য-মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য ৷ শুক্রবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে শিলিগুড়ি সংলগ্ন নকশালবাড়ি ব্লকে । ছাত্রীর মৃত্যুতে ধন্দে পুলিশও । মৃত্যুর কারণ জানতে মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করে ময়নাতদন্ত করানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রশাসনের তরফে ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ছাত্রীর নাম অর্পিতা পাল (16)। রবিবার বাড়িতে মায়ের সঙ্গে ঝগড়া করে বান্ধবীর বাড়িতে চলে যায় । সেখান থেকেই মাধ্যমিকের দুটো পরীক্ষা দেয়। এরপর শুক্রবার সকালে বান্ধবীর বাড়ি থেকেই তার মৃতদেহ উদ্ধার হয় । যদিও এই বিষয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে বান্ধবী ও মৃতার পরিবারের সদস্যরা ।
জানা গিয়েছে, মৃত অর্পিতা নকশালবাড়ির খালপাড়ার বাসিন্দা । সে তার বান্ধবী সুজাতা শৈবের বাড়ি ছিল। সুজাতার বাড়ি মেচবস্তি এলাকায়। অর্পিতা নকশালবাড়ির নন্দপ্রসাদ হাইস্কুলের ছাত্রী। লেখাপড়াতেও বেশ ভালো ছিল বলে খবর । পরপর দু'দিন বান্ধবীর বাড়ি থেকেই পরীক্ষা দিয়েছিল । কিন্তু বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘুমানোর পর আর উঠছিল না। অনেক ডাকাডাকি করলেও কোনও সাড়া মেলেনি । তখনই অর্পিতার মা রূপা মণ্ডলকে ডেকে আনা হয় ।
তারপর অর্পিতাকে নকশালবাড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। কীভাবে মেয়ের মৃত্যু হল তা কিছুই বুঝে উঠতে পারছিলেন না তিনি । ঘটনার খবর পেয়ে তদন্তে আসে নকশালবাড়ি থানার পুলিশ। তারা এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠায় ।
এলাকার বাসিন্দা মায়া রায় বলেন, "মায়ের সঙ্গে ঝগড়া করে রবিবার থেকে বান্ধবীর বাড়িতে ছিল অর্পিতা। পরীক্ষাও দিয়েছিল। তারপরও কীভাবে এই ঘটনা ঘটল তা বলা মুশকিল ।" এই বিষয়ে কার্শিয়াংয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অভিষেক রায় বলেন, "ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলেই মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে । মৃত্যুর কারণ জানতেই মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হচ্ছে । একজন ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে ময়নাতদন্ত হবে ।" নির্দেশমতো শুক্রবার সকালেই এলাকায় যান ম্যাজিস্ট্রেট । তিনি গিয়ে গোটা এলাকা ঘুরে দেখার পাশাপাশি কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদও করেন ।