ভীমপুর (নদিয়া), 5 সেপ্টেম্বর: গভীর রাতে ঘরে ঢুকে মহিলাকে ধর্ষণের চেষ্টা অভিযোগ উঠল ৷ এমনকী পাথর দিয়ে মহিলার মাথা থেঁতলে দেওয়া হয় ৷ বৃহস্পতিবার সকালে রক্তাক্ত অবস্থায় ওই মহিলাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ৷ অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে কলকাতায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল ৷ সেই সময় ওই মহিলার মৃত্যু হয় ৷ ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার ভীমপুর থানার ডিগ্রি গ্রামে ৷
এই ঘটনায় এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ৷ আরজি করের ঘটনায় এখনও গোটা দেশজুড়ে চলছে প্রতিবাদ ৷ এনিয়ে আন্দোলন চলছে রাজ্য তথা দেশে ৷ এর মধ্যে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে চলেছে ৷
পরিবারের দাবি, এদিন সকালে ওই মহিলার আধার কার্ড এবং ভোটার কার্ড বাড়ির বাইরে পড়ে থাকতে দেখে পরিবারের সদস্যরা ৷ এরপর ঘরের পিছনে গিয়ে পরিবারের লোকজন দেখে ঘরের ভিতর মাটি কেটে ফাঁকা করা হয়েছে ৷ তড়িঘড়ি ঘরের মধ্যে ঢুকে দেখা যায়, রক্তাক্ত অবস্থায় মেঝেতে পড়ে রয়েছে গৃহবধূ ৷
এরপরে চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করলে প্রতিবেশীরা এসে প্রথমে তাঁকে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ৷ তাঁর অবস্থার অবনতি ঘটলে সেখান থেকে চিকিৎসকরা কলকাতায় স্থানান্তরিত করে ৷ সূত্রের খবর, হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় রাস্তাতেই ওই মহিলার মৃত্যু হয় ৷ এই ঘটনায় পরিবারের তরফে ভীমপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে ৷
অভিযোগের ভিত্তিতে একজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ ৷ জানা যায়, ওই গৃহবধূর স্বামী কর্মসূত্রে দেশের বাইরে থাকেন ৷ তাই গৃহবধূ একাই ঘরে থাকতেন ৷ পরিবারের দাবি, অবিলম্বে তদন্ত শুরু করে দোষীকে কঠোরতম শাস্তি দেওয়া হোক ৷
ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিত কুমার বলেন, "ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পরিবারের তরফে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে ৷ আমরা তার ভিত্তিতে তদন্ত নেমেছি ৷ এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছি ৷ তবে অভিযোগে কোথাও ধর্ষণের কথা উল্লেখ নেই ৷ আমরা ওই মহিলার মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য পাঠিয়েছি ৷ সেখানে যদি কোনও শারীরিক অত্যাচারের চিহ্ন দেখা যায়, তাহলে নতুন করে দফা দায়ের করা হবে ৷"