মালদা, 10 জুলাই: বিয়ের কবুলনামাই পড়ল না, অথচ প্রশাসনের খাতায় বিবাহিতা ছাত্রী ৷ এমনই ঘটনা ঘটেছে রতুয়ার এক ছাত্রীর সঙ্গে ৷ কন্যাশ্রী প্রকল্পের সুবিধে পেতে নিয়ম মেনে আবেদন জানিয়ছিল সে ৷ অভিযোগ, প্রকল্পের তালিকায় নাম তুলতে তার কাছে নাকি কাটমানি চান এক সরকারি কর্মী ৷ সেই টাকা দিতে না-পারায় ছাত্রীকে সরকারি খাতায় বিবাহিতা বলে উল্লেখ করে দিলেন দায়িত্বে থাকা সরকারী কর্মী ৷ বছর দেড়েক ধরে ব্লক আর পঞ্চায়েত দফতরে ঘুরে ঘুরে স্কুল ছাত্রী শেষ পর্যন্ত বিডিও'র কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেন ৷
অভিযোগ পেয়েই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছেন বিডিও ৷ জানিয়েছেন, অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হলে সরকারি কর্মীর বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করা হবে ৷ ছাত্রী সুলতানা পারভিন রতুয়া 1 নম্বর ব্লকের চাঁদমণি 2 নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের বোমপাল গ্রামের বাসিন্দা ৷ বর্তমানে সে স্থানীয় বাটনা জেএমও সিনিয়র মাদ্রাসার একাদশের ছাত্রী ৷ বাবা রবিউল ইসলাম পেশায় শ্রমিক ৷ সুলতানার দাবি, "দশম শ্রেণিতে পড়ার সময় আমি কন্যাশ্রী প্রকল্পের সুবিধে পেতে K2 ফর্ম জমা করি ৷ আমার বান্ধবীরাও ওই ফর্ম জমা দিয়েছিল ৷ ওদের সবার হয়ে গেলেও আমার হয়নি ৷ আমি গ্রাম পঞ্চায়েত দফতরে গিয়ে এই কাজে নিযুক্ত শান্তনু রায় নামে এক ব্যক্তিকে গোটা ঘটনাটি জানাই ৷ তিনি আমার কাছে টাকা দাবি করেন ৷ আমি সেই টাকা দিইনি ৷"
পড়ুয়া আরও বলেন, "এরপর প্রায় দেড় বছর ধরে তাঁর কাছে আমি মাঝেমধ্যেই যাচ্ছি ৷ এতদিন ধরে তিনি আমাকে এটা সেটা করে ফিরিয়ে দিচ্ছেন ৷ পঞ্চায়েত থেকে ব্লকে যোগাযোগ করতে বলা হচ্ছে, ব্লক থেকে পঞ্চায়েতে ৷ শেষ পর্যন্ত আমার মামা ব্লকে খোঁজখবর নিয়ে জানতে পারে, আমাকে বিবাহিত দেখিয়ে গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে ব্লকে রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে ৷ অথচ আমি বিয়ে করিনি ৷ এখন একাদশ শ্রেণিতে পড়ছি ৷ আমি চাই, বিষয়টি সঠিকভাবে তদন্ত করা হোক যাতে কন্যাশ্রী প্রকল্পের সুবিধে পাই ৷"