বোলপুর, 7 সেপ্টেম্বর: বিশ্বভারতীর ভিন রাজ্যের ছাত্রীর অস্বাভাবিক মৃত্যুতে ফরেন্সিক দল এলো ছাত্রী নিবাসে। সঙ্গে শান্তিনিকেতন থানার ওসির নেতৃত্বে পুলিশও ছিল ৷ দুর্গাপুর থেকে 4 সদস্যের ফরেন্সিক দল আম্রপালি ছাত্রী নিবাস থেকে নমুনা সংগ্রহ করে। অন্যদিকে, মৃত ছাত্রী অনামিকা সিং-এর ফোন থেকে একাধিক চ্যাট পাওয়া গিয়েছে। তাতে দেখা গিয়েছে, টাকার জন্য তাঁকে চাপ দিচ্ছিলেন একটি কোম্পানির এজেন্ট ৷
ছাত্রী নিবাসে পৌঁছল ফরেন্সিক দল (ইটিভি ভারত) বীরভূম জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বোলপুর) রানা মুখোপাধ্যায় বলেন, "মেয়েটির বাবা-মা অভিযোগ করেছেন ৷ পুলিশ তদন্ত করছে ৷ ফরেন্সিক দল নমুনা সংগ্রহ করছে। আমাদের টেকনিক্যাল এক্সপার্টসরা মোবাইলটি খতিয়ে দেখছেন ৷ এখনই আর কিছু বলব না ৷" এর আগে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালের বদলে মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ময়নাতদন্ত করানো হয়েছে ওই ছাত্রীর ৷
ছাত্রীটি যে ঘরে থাকত তা আগেই সিল করেছিল পুলিশ। এদিন সেখান থেকেই নমুনা সংগ্রহ করেন ফরেন্সিক দলের প্রতিনিধিরা ৷ প্রসঙ্গত, ছাত্রীটির বাবা-মা শান্তিনিকেতন থানায় আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ দায়ের করেছেন ৷ তদন্তে নেমে ছাত্রীর মোবাইল থেকে বেশকিছু তথ্যও পেয়েছে পুলিশ। তাতে দেখা যাচ্ছে, ঋণের টাকা আদায়ের জন্য চাপ দিচ্ছে একজন এজেন্ট ৷
উল্লেখ্য, উত্তরপ্রদেশের বারাণসীর বাসিন্দা অনামিকা সিং। বিশ্বভারতীর শিল্প সদনের স্নাতকের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন ৷ আম্রপালি ছাত্রী নিবাসে থেকে পড়াশোনা করতেন ৷ 5 সেপ্টেম্বর বিকেলে ছাত্রী নিবাসেই বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে ছাত্রী। 6 সেপ্টেম্বর রাত্রে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। এই ঘটনার পর রাতেই ছাত্রী নিবাসে শান্তিনিকেতন থানার ওসির নেতৃত্বে পুলিশ যায় ৷ সেই সময় প্রায় 2 ঘণ্টা পুলিশকে ছাত্রী নিবাসে আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখায় পড়ুয়ারা ৷ অভিযোগ ছিল, কেন বিশ্বভারতীর আধিকারিকদের ছাড়াই ছাত্রী নিবাসে পুলিশ প্রবেশ করল ৷ পরে অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার ও বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত কর্মসচিব এসে পরিস্থিতি সামাল দিয়েছিল ৷