কলকাতা, 5 জুন: ভোটে বিজেপির হারের পরে ফের বিস্ফোরক বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এবার তাঁর নিশানায় দলেরই নেতারা । বিদায়ী সাংসদের কথায়, "চক্রান্ত ও কাঠিবাজি করে তাঁকে হারানো হয়েছে। তিনি পরিশ্রম করেছেন তবে সাফল্য আসেনি । তাঁর এই বক্তব্যে সহমত পোষণ করলেন তৃণমূল নেতা ও রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, "দিলীপদার দুঃখ বুঝি ।"
দিলীপ ঘোষের পাশে দাঁড়ালেন ফিরহাদ হাকিম (ইটিভি ভারত) বিধায়ক হওয়ার পরে রাজ্যে দিলীপ ঘোষকে মেদিনীপুর লোকসভায় দাঁড় করিয়েছিল বিজেপি । 2019 তিনি জিতে সাংসদও হয়েছিলেন। এবার আচমকাই তাঁর চেনা ময়দান থেকে তুলে এক্কেবারে বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রে লোকসভার প্রার্থী করা হয় । বিপরীতে ছিলেন তৃণমূলের তারকা প্রার্থী কীর্তি আজাদ । মঙ্গলবার লোকসভা ভোটের ফল প্রকাশ হয়েছে ৷ সেখানে তিনি পরাজিত হয়েছেন ঘাসফুল প্রার্থীর কাছে । রাজ্যেও ভরাডুবি হয়েছে গেরুয়া শিবিরের । আর সেই প্রসঙ্গেই এবার বিস্ফোরক দিলীপ ঘোষ ।
বুধবার তিনি সংবাদমাধ্যমে বলেন, "জেতা আসন থেকে সরিয়ে দলের লোকজন চক্রান্ত করেছে। কঠিবাজি ছিল। হারা আসনে লড়েছি। 2021 পর্যন্ত এগিয়েছি তারপর আটকে গিয়েছি। গত 3-4 বছরে বিজেপি আর রাজ্যে এগোতে পারেনি ।" এই প্রসঙ্গেই কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, "দেখুন দিলীপদার দুঃখ আমরা বুঝতে পারি । বিজেপি দলটা যে দু-চার জন দাঁড় করিয়েছেন তার মধ্যে দিলীপ দা একজন। যখন দু'জন বিধায়ক এল তখন দিলীপ দা একজন । সেই দিলীপ দাকেই আসতে আসতে কোণঠাসা করেছে দল। জেতা আসন থেকে সরিয়ে দিল । ওদের দলের ব্যাপারে বেশি কিছু বলার নেই। মানুষ হিসেবে খারাপ লাগে। একটা লোক এতকিছু করল তাকে কোণঠাসা করে দিল। গতকালের ফলাফলে বিজেপি 50 বছর পিছিয়ে গিয়েছে।"
পাশাপশি এদিন ফিরহাদ সাফ বলেন, "কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তাদের কাজ করবে কিন্তু রাজনৈতিক উদ্দেশে নয়। কেন যার বাড়িতে ইডি সিবিআই যাচ্ছে বন্ডের মাধ্যমে পরের দিন সে টাকা দিচ্ছে । কীসের জন্য ইডি ও সিবিআই? আগেও তারা ছিল কিন্তু বিরোধীদের চাপে ফেলতে তাদের ব্যবহার ঠিক নয় । আমরা আমাদের লড়াই চালিয়ে যাব ।"