কলকাতা, 27 মে: ঘূর্ণিঝড় রেমালের জেরে রাতভর বৃষ্টিতে জলমগ্ন গোটা শহর। এখনও বেশ কিছু জায়গায় জল জমে রাস্তায় ৷ পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক হওয়ার আশ্বাস মেয়র ফিরহাদ হাকিমের ৷ বৃষ্টি সম্পূর্ণ থামলে 5 ঘণ্টার মধ্যে কলকাতার জমা জল নেমে যাবে বলে আশ্বাস দিলেন তিনি ৷ পাশাপাশি জমা জলের জন্য দায়ী করলেন শহরে ইঁদুরের দৌরাত্ম্য ও যত্রতত্র প্লাস্টিক ফেলার বিষয়টিকে ৷
জমা জলে হয়রান শহরবাসী! কী বললেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম (ইটিভি ভারত) তিনি বলেন, "কলকাতায় 264 মিলি মিটার বৃষ্টি হয়েছে। সেই অনুসারে দ্রুত জল নেমেছে। নিকাশি ব্যবস্থা আগের থেকে অনেক ভালো হয়েছে। কিছু জায়গায় নিচু আর গালিপিটে প্লাস্টিক ইত্যাদির জন্য জল নামতে খানিকটা সময় লাগছে। কেআইআইপি এলাকায় সংযুক্ত এলাকায় কাজ করেছে। সেখানে কিছু অংশে জল এখনও জমে আছে। ঠনঠনিয়া ও আমহার্স্ট স্ট্রিটে জল আছে। বৃষ্টি যদি কমে যায়, তাহলে চার-পাঁচ ঘন্টায় জল নেমে যাবে।"
নেমেছে পার্কস্ট্রিট স্টেশনের জমা জল, প্রায় 5 ঘণ্টা পর স্বাভাবিক হল মেট্রো পরিষেবা
তিনি আরও জানান, ক্যামক স্ট্রিট-সহ বেশ কিছু এলাকায় প্রচুর খাবারের দোকান। সেখানে লোকজন খাবার খেয়ে প্লাস্টিক-কাগজ রাস্তায় ফেলে। সেগুলো নর্মদায় আটকে যায়। জঞ্জাল সাফাই কর্মীদের পাঠানো হয়েছে সেগুলি পরিষ্কারের জন্য ৷ মূলত, ক্যামক স্ট্রিট, ঠনঠনিয়া কলেজ স্ট্রিট, মুক্তরাম বাবু স্ট্রিট, বেলেঘাটা, সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউতে একাংশ সকাল থেকে ছিল জলমগ্ন। পার্ক স্ট্রিট মেট্রোর লাইন জলের তলায় চলে গিয়ে পরিষেবা বিপর্যস্ত হয়ে যায়।
রবিবার প্রায় সারারাত বৃষ্টি হয়েছে শহরে ৷ জোয়ার থাকায় লক গেট বন্ধ ছিল। তাই সকালে রাস্তাঘাট ছিল জলের তলায়। তবে লকগেট খুললে ধীরে ধীরে জল নামে। কিন্তু দুপুরের পর থেকে শুরু হয় ফের বৃষ্টি। আবার জোয়ার আসায় বন্ধ হয় লকগেট। ফলে কলকাতা জলমগ্ন হবে সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না।
ঘূর্ণিঝড়-টানা বৃষ্টিতে বাড়ি ভেঙে আহত 1, তারে গাছ পড়ে বিঘ্নিত ট্রেন চলাচল