বোলপুর, 24 অগস্ট: শিক্ষিকাদের দ্বন্দ্বে শিকেয়ে উঠেছে বোলপুর শৈলবালা উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের পঠন-পাঠন ৷ দু'দিন ধরে স্কুলেই চলছে শিক্ষিকাদের কর্মবিরতি। ছাত্রীরা স্কুলে এলেও হচ্ছে না ক্লাস ৷ ধরনায় বসে থাকা শিক্ষিকাদের অভিযোগ, স্কুলের এক সহকারী শিক্ষিকা অপর্ণা সরকার অন্য এক শিক্ষিকার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনেন ৷ আর এই দ্বন্দ্বেই লাটে উঠেছে পঠন-পাঠন।
শিক্ষিকাদের ধর্না (ইটিভি ভারত) বোলপুর শৈলবালা উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা রুবি ঘোষ বলেন, "এই সমস্যা বহু দিনের ৷ তবে এই সমস্যার জন্য ক্ষতি হচ্ছে ছাত্রীদের ৷ ক্লাস হচ্ছে না ৷ আমি বিষয়টি বীরভূম জেলা শাসক, মহকুমা শাসক, স্কুল পরিদর্শক, মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহাকেও জানিয়েছি ৷ দেখা যাক কী হয় !" ওই স্কুলের সহকারী শিক্ষিকা অপর্ণা সরকার। তাঁর বিরুদ্ধে বাকি শিক্ষিকাদের অভিযোগ, স্কুলের অন্যান্য শিক্ষিকাদের বিরুদ্ধে তিনি মিথ্যা অভিযোগ আনেন। স্কুলের বৈঠকে যোগ দেন না, অকারণ অশান্তি সৃষ্টি করেন, ঠিকমত ক্লাস করেন না ৷
এই অভিযোগে, স্কুলের গেটে কর্মবিরতির পোস্টার লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর দুদিন ধরে স্কুলের মঞ্চেই ধর্ণায় বসেছেন প্রায় 18 জন শিক্ষিকা। ফলে স্বাভাবিকভাবেই শিকেয়ে উঠেছে স্কুলের পঠন-পাঠন। ছাত্রীরা যথারীতি স্কুলে আসছে, সময়ে সময়ে ক্লাসের ঘণ্টা বাজছে। অথচ, স্কুলে যাচ্ছেন না শিক্ষিকারা। ক্লাস রুমে বসে থেকে ছুটি হলে বাড়ি চলে যাচ্ছে ছাত্রীরা ৷ যদিও, ওই সহকারী শিক্ষিকা অপর্ণা সরকার জানান, স্কুলের বাকি শিক্ষিকারা তাঁকে বিভিন্নভাবে নির্যাতন করেন ৷ শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হয় ৷ এই মর্মে তিনি বোলপুর থানায় লিখিত অভিযোগও করেছেন ৷ তদন্ত করতে পুলিশও এসেছিল স্কুলে ৷
চৈতালি দাস নামে এক শিক্ষিকা বলেন, "আমাদের বিদ্যালয় বিশৃঙ্খলায় ভরে গিয়েছে। ওই একজন শিক্ষিকার জন্য সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। আমাদের দাবি প্রশাসন বা স্কুল কর্তৃপক্ষ যদি সঠিক সিদ্ধান্ত না নেয়, আমাদের এই কর্মবিরতি চলবে।" তবে অভিবাবকদের মধ্যে পার্থসারথী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "শিক্ষিকাদের দ্বন্দ্বে আমাদের মেয়েদের ক্লাস হচ্ছে না ৷ ওদের ভবিষ্যৎ নষ্ট হচ্ছে ৷ আমরা এটা মানব না ৷ যদি বেশি দিন এই কর্মবিরতি চলে স্কুল বন্ধ করে দিক।"