কলকাতা, 31 অগস্ট: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুঝতেই পারছেন না যে এই আন্দোলন এখন কোন স্তরে পৌঁছে গিয়েছে। হুঁশিয়ারি দেওয়ার সুরেই শনিবার ধর্মতলায় বিজেপির ধরনা মঞ্চ থেকে জানালেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদ ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগের দাবিতে ধর্মতলার ওয়াই চ্যানেলে এদিন ছিল বিজেপির ধর্নার তৃতীয় দিন।
ধরনা মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ, রূপা গঙ্গোপাধ্যায়, শমীক ভট্টাচার্য-সহ শীর্ষ স্তরের একাধিক নেতৃত্ব। ধর্ষকের ফাঁসির আইন আনতে চলেছে রাজ্যে সরকার। আর সেই আইন প্রণয়ন নিয়েই আগামী সপ্তাহে বিধানসভায় দু'দিনের বিশেষ অধিবেশন বসতে চলেছে। আইন আনতে রাজ্যে সরকারের এত দেরি হল কেন তা নিয়ে প্রশ্নই তোলেন দিলীপ ঘোষ। তাঁর প্রশ্ন,"রাজ্য কি এই বিল আদৌ আনতে পারে ? আদালত কি সেটা মানবে ? আর তাহলে এই আইন আনতে তৃণমূল সরকারের 13-14 বছর কেন লেগে গেল ।"
তিনি আরও বলেন, "রাজ্যে যে 48 হাজার মামলা পড়ে আছে তার সমাধান কবে হবে ? ভারতীয় ন্যায় সংহিতাতে তো এই প্রভিশন রয়েছে।" তিনি আরও জানান, এই বিষয় যখন লোকসভায় তিন মাস ধরে আলোচনা চলেছিল এবং রাজ্যগুলির থেকে পরামর্শ চাওয়া হয়েছিল তখন বাংলা তাদের মতামত পাঠায়নি ৷ দিলীপ ঘোষ বলেন, "সেই সময় প্রত্যেকটি আলোচনায় আমি উপস্থিত ছিলাম। তখন তৃণমূল সরকার কিছু বলেনি। আসলে তৃণমূল এখন মানুষকে বোকা বানানোর জন্য এখন এসব কথা বলছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যা বলেন আর যা করেন তার মধ্যে কোনও মিল নেই।"
আরজি কর-কাণ্ড নিয়ে সমাজের বিভিন্ন স্তরের লাগাতার আন্দোলন নিয়ে দিলীপ অভিযোগ করে জানান, বিরোধীদের ওপরে টিয়ার গ্যাস থেকে লাঠি এবং জল কামান ব্যবহার করা হয়েছিল। এখনও যারা অরাজনৈতিক এবং সামাজিকভাবে আন্দোলন করছে তাদের বিভিন্নভাবে ভয় দেখানো হচ্ছে। তাঁর কথায়, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানেন না যে পশ্চিমবঙ্গের রন্ধ্রে রন্ধ্রে আন্দোলনের ঢেউ পৌঁছে গেছে। কেউ রাস্তায় নেমেছেন। কেউ নামেননি। কিন্তু সবাই রাস্তায় নামবেন। তাই ভয় দেখিয়ে বা গায়ের জোরে এই আন্দোলন বন্ধ করা সম্ভব নয়। এই আন্দোলন আরও বাড়বে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি সত্যিই বিচার চান তাহলে নাটক না করে ধরনা না দিয়ে সিবিআইকে সাহায্য করলে বরং আসল দোষীরা শাস্তি পাবে। আসলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুঝতেই পারছেন না যে এই আন্দোলনটা কোন স্তরে পৌঁছে গিয়েছে।"