পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / state

বৈশাখী ভূরিভোজে সামিল হবে স্কুল, মিড-ডে মিলের মেনু বেঁধে দিল স্কুল শিক্ষা দফতর - Poila Baishakh 2024

Mid Day Meal: সোমবার স্কুল না গেলেই মিস হবে মাস পয়লার স্পেশাল মিড-ডে মিল ৷ কী কী থাকছে মেনুতে ? জানাল স্কুল শিক্ষা দফতর ৷

Mid Day Meal , পয়লা বৈশাখের মিড-ডে মিল মেনু
পয়লা বৈশাখ স্পেশাল মেনু স্কুলের মিড-ডে মিলে

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Apr 14, 2024, 2:54 PM IST

কলকাতা, 14 এপ্রিল: আজ বাঙালির নববর্ষ, নতুন বছরের সূচনা । নতুন জামা পরার পাশাপাশি নববর্ষ উপলক্ষে হয় জমজমাট খাওয়ার দাওয়াও । এবার নববর্ষ উপলক্ষে মিড-ডে মিলেও চমক থাকছে ৷ সোমবার 2রা বৈশাখ পড়ুয়াদের জন্য থাকছে ভূরিভোজের ব্যবস্থা ৷ এমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্কুল শিক্ষা দফতর । দফতর সকল স্কুলগুলিকে নির্দেশ দিয়েছে, এই নববর্ষ উপলক্ষে মিড-ডে মিলে সকল স্কুলের মেনুতে থাকবে মাংস-ভাত থেকে ফ্রায়েড রাইস । তার সঙ্গে শেষ পাতে থাকবে মিষ্টিও ।

এবার প্রথম পালিত হল রাজ্য দিবস । তবে এই দিনটি আরও স্পেশাল করার জন্য স্কুল শিক্ষা দফতরের এই উদ্যোগ । তারা জানিয়েছে, বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে 15 এপ্রিল মিড-ডে মিলে বিশেষ মেনু পরিবেশন করতে । স্পেশাল মেনুতে কী হবে, সেটা স্কুল কর্তৃপক্ষ নিজেদের সুবিধা মতো ঠিক করবে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে । এই বিষয়ে রাজ্যের মিড-ডে মিল তথা পিএম পোষণ প্রকল্পের অধিকর্তা পারমিতা রায় বলেন, "রোজকার বাঁধাধরা মেনুর বাইরে গিয়ে কোনও স্কুল যদি নববর্ষ উপলক্ষে বাচ্চাদের বিশেষ কিছু খাওয়ায়, আমরা তাতে উৎসাহ দিচ্ছি । বিষয়টা স্কুলের উপরেই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে । যে স্কুল যেভাবে করতে পারবে ।"

সেই মতো কলকাতার সব স্কুল পড়ুয়াদের পাতে পড়বে ফ্রায়েড রাইস, ডিমের কষা, আলুর দম ও একটি করে মিষ্টি । জেলার বহু স্কুলে দেওয়া হবে মাংস ভাত । এই বিষয়ে কলকাতা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের চেয়ারম্যান কার্তিক মান্না বলেন, "কলকাতা জেলার সব স্কুলে ওইদিন ডিমের কষা আর ফ্রায়েড রাইস দেওয়া হবে । থাকবে আলুর দমও । তার সঙ্গে একটা করে মিষ্টি দেওয়া হবে ।" শহর কলকাতার স্কুলগুলির মিড-ডে মিলের রান্না হয় ক্লাস্টার কিচেনে । এক-একটি রান্নাঘরে একসঙ্গে অনেক স্কুলের রান্না করেন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যরা । সেই রান্না করা খাবার পৌঁছে দেওয়া হয় স্কুলে স্কুলে ।

স্কুল শিক্ষা দফতরের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছে শিক্ষামহল । শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক কিংকর অধিকারীর কথায়, "এই ধরনের খাবার ছাত্র-ছাত্রীদের দিতে পারলে আমরা সকলে খুশি হই । পাশাপাশি বিদ্যালয়ে দশম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রীদেরও মিড-ডে মিলের আওতায় আনা হোক । একই বিদ্যালয়ে কেউ খাবার পাবে, কেউ পাবে না এই বৈষম্য আমাদের অত্যন্ত অমানবিক বলে মনে হয় ।"

আরও পড়ুন :

  1. রাজ্যের মিড-ডে মিলের কাজ নিয়ে ভূয়সী প্রশংসা কেন্দ্রের, বরাদ্দ 4 হাজার কোটি
  2. মিড-ডে মিলে ইলিশ থালি ! বেজায় খুশি পড়ুয়ারা

ABOUT THE AUTHOR

...view details