কলকাতা, 30 জুন: হুল দিবসে রাজ্যের আদিবাসী মানুষদের শুভেচ্ছা জানালেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । এক্স হ্যান্ডেলে বাংলা এবং অলচিকি দুই ভাষায় শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মমতা ৷ রাজ্য সরকারের তরফে প্রত্যেক বছর রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকায় ধুমধাম করে পালন করা হয় এই দিন ৷ সেই মতো এবারও বিভিন্ন আদিবাসী অধ্যুষিত জেলায় এই দিনটিকে আলাদা করে পালন করা হচ্ছে ।
রবিবার এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, "হুল দিবস উপলক্ষে আমার সকল আদিবাসী ভাই-বোন-সহ সবাইকে জানাই অন্তরের শ্রদ্ধা ৷ শাসকের অত্যাচারের, শোষণের বিরুদ্ধে সিধো-কানহোর নেতৃত্বে সাঁওতালদের লড়াই আজও আমাদের প্রেরণা জোগায় মাথা উঁচু করে অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে ৷"
সেইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মনে করিয়ে দিয়েছেন সাঁওতাল বিদ্রোহের দুই নায়ককে স্মরণ করে তাঁদের সম্মান জানাতে রাজ্য সরকার জঙ্গলমহলে একটি বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করেছেন ৷ তিনি লেখেন, "সাঁওতাল বিদ্রোহের এই দুই নায়ককে সম্মান জানিয়ে তাঁদের নাম জড়িয়ে নেওয়া হয়েছে জঙ্গলমহলে আমাদের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে।"
সদ্য শেষ হওয়া লোকসভা নির্বাচনে জঙ্গলমহলের আদিবাসী মানুষ তৃণমূল কংগ্রেসকে দুহাত খুলে ভোট দিয়েছেন । 2019 এবং 2021 সালে আদিবাসীদের একাংশের ভোট তৃণমূলের থেকে দূরে সরে গিয়েছিল বলে মনে করে দল ৷ তবে এবারের নির্বাচনে সেগুলি আবার ঘাসফুলের দিকে আসতে শুরু করেছে বলে মনে করছে তৃণমূলের একাংশ । এই আবহে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর এই শুভেচ্ছা বার্তা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহল ।
1855 সালের 30 জুন ব্রিটিশ শাসনের ভিত কেঁপে গিয়েছিল সাঁওতাল বিদ্রোহে ৷ আন্দোলন থেকে 'হুল' আওয়াজ তুলেছিলেন সিধু, কানু, বিরসা, চাঁদ, ভৈরব, ফুলমণি এবং ঝানু মুর্মুরা ৷ সেদিনের সেই আন্দোলন শুধুমাত্র ভারতে নয়, প্রভাব ফেলেছিল সমগ্র বিশ্বে ৷ ঐতিহাসিক সেই দিনটিকে সম্মান জানাতে প্রতি বছর 30 জুন পালিত হয় হুল দিবস ৷