ঝাড়গ্রাম, 9 অগস্ট: বিশ্ব আদিবাসী দিবসে আদিবাসীদের জন্য ঝাড়গ্রামে বড় ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কলকাতার রাজারহাটে নির্মিত আদিবাসী ভবনের মতো ঝাড়গ্রাম ও কালিম্পং আদিবাসী ভবন নির্মাণ করা হবে বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী। শুক্রবার দুপুরে ঝাড়গ্রাম স্টেডিয়ামে বিশ্ব আদিবাসী দিবসের মঞ্চ থেকে ঘোষণা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়।
বড় ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর (ইটিভি ভারত) মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "আমাদের সরকার ক্ষমতায় আসার পর আমরা আদিবাসী উন্নয়ন দফতর গঠন করেছি। দফতরের বাজেট আমরা 2011 সাল থেকে আরও সাতগুণ বাড়িয়ে দিয়েছি ৷ 'ট্রাইবেল অ্যাডভারসারি কাউন্সিল' আমাদের নেতৃত্বেই গঠন করা হয়েছে। আদিবাসীদের জমি কোনও মতেই হস্তান্তর করা যাবে না তার জন্য আমরা আইন তৈরি করেছি। কারণ আদিবাসীদের জমি অনেকেই কিনে নিত। প্রায় 19 লক্ষ এসটি জাতিগত শংসাপত্র পত্র প্রদান করা হয়েছে।"
একই সঙ্গে তিনি আরও বলেন, "তিন লক্ষেরও বেশি মানুষকে জয় জোহার প্রকল্পের আওতায় এক হাজার টাকা করে পেনশন দেওয়া হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত 1192 কোটি টাকা প্রদান করা হয়েছে। রাজারহাটে আদিবাসী ভবন তৈরি করা হয়েছে। ঝাড়গ্রাম এবং কালিম্পং আদিবাসী ভবন তৈরি করা হবে। ফরেস্ট রাইট অ্যাক্টে আমরা 49 হাজার আদিবাসীদের জঙ্গলের পাট্টা দিয়েছি। 851টি কমিউনিটি ফরেস্ট পাট্টা দেওয়া হয়েছে। সারনা ও সারি ধর্মের স্বীকৃতির জন্য কেন্দ্র সরকারের কাছে আবেদন পাঠানো হয়েছে ৷" এছাড়াও মুখ্যমন্ত্রী আদিবাসীদের উন্নয়নের জন্য যে সমস্ত প্রকল্পগুলি করেছেন তা তিনি সকলের কাছে তুলে ধরেন।
মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণায় স্বভাবতই খুশি আদিবাসী সমাজের নেতৃত্বরা। নয়াগ্রামের বিধায়ক দুলাল মুর্মু বলেন, "বিশ্ব আদিবাসী দিবসের মঞ্চে দিদি যখন বলেছেন ঝাড়গ্রামে আদিবাসী ভবন তৈরি হবে তখন হবে। যেভাবে রাজারহাটে আমাদের আদিবাসী ভবন রয়েছে সেই ভাবেই ঝাড়গ্রামে তৈরি করা হবে। আদিবাসী সমাজের বিভিন্ন উন্নয়ন এবং আদিবাসীদের সাংস্কৃতিকে রক্ষা জন্য মিউজিয়াম যেভাবে রয়েছে আদিবাসী ভবনে, ঠিক সেভাবে ঝাড়গ্রামও তৈরি করা হবে। আদিবাসীদের উন্নয়নের জন্য দিদি একাধিক উন্নয়নমূলক কাজ করে চলেছে ৷"
আদিবাসী সামাজিক সংগঠনের নেতা রবিন টুডু বলেন, "মুখ্যমন্ত্রী জঙ্গলমহলে আসা মানে আমরা একটা আশা নিয়ে থাকি আমরা নতুন কিছু একটা পাব। ক্ষমতায় আসার পর থেকেই তিনি আদিবাসীদের উন্নয়নের জন্য একাধিক উন্নয়নমূলক কাজ করেছেন। আমাদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল সাঁওতালি মাধ্যমে পঠন-পাঠনের জন্য তার জন্য তিনি প্রাইমারি স্কুল থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত পঠন-পাঠনের ব্যবস্থা করেছেন। আমরা অত্যন্ত খুশি যে রাজারহাটের সঙ্গে আমাদের ঝাড়গ্রামে ও কালিম্পং তিনি আদিবাসী ভবন নির্মাণ করতে চলেছেন ৷"