কলকাতা, 9 ফেব্রুয়ারি:সিএজি রিপোর্টে রাজ্যে সরকারের বিরুদ্ধে প্রায় 2 লক্ষ 29 হাজার কোটি টাকার ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট জমা না করার অভিযোগ উঠেছে । শুক্রবার নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলন করে কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল অফ ইন্ডিয়ার আনা এই অভিযোগকে পুরোপুরি নস্যাৎ করে দিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব ভগবতী প্রসাদ গোপালিকা ।
এ দিন তিনি দাবি করেছেন, সিএজির রিপোর্ট খতিয়ে দেখতে রাজ্যের আটটি দফতরকে নিয়ে বসেছিলেন তিনি । তাঁরা খতিয়ে দেখেছেন, রাজ্যের তরফে কোনও ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট জমা করা বাকি নেই । প্রসঙ্গত, সিএজি রিপোর্টে যে 2 লক্ষ 29 হাজার কোটি টাকার ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট জমা না করার অভিযোগ রাজ্যের বিরুদ্ধে উঠেছে, সেগুলি এই আটটি দফতরের ।
এ দিন মুখ্যসচিব বলেন, "আমি পর্যালোচনা করে দেখেছি, যে ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট জমা না করার কথা বলা হচ্ছে সেগুলি ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকারের দফতরে জমা করা হয়েছে ।" একইসঙ্গে তিনি এও প্রশ্ন তুলেছেন, 2003 সাল থেকে জমা না পড়া ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট নিয়ে রিপোর্ট কীভাবে 2021 সালে হতে পারে । 2003 থেকে 2021 সাল পর্যন্ত যে রিপোর্টের কথা বলা হচ্ছে, তা নতুন করে বিভ্রান্তি তৈরি করছে বলে মত তাঁর ৷ তিনি বলেন, এটি কুড়ি বছরের হিসাব ।
মুখ্যসচিব আরও বলেন, "শুধু 2021 নয়, 23 সাল পর্যন্ত এই ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রীয় সরকারের দফতরে জমা পড়েছে । তিনি বলেন, ইউসি হাতে পাওয়ার পরই পরবর্তী ক্ষেত্রে ফান্ড অ্যালোকেশন করা হয় । নতুন ফান্ড ছাড়া হয় তখনই, তখন স্পষ্টভাবে লেখা হয় কোনও ইউসি পেন্ডিং নেই । অর্থাৎ আমরা কেন্দ্রীয় সরকারকে ইউসি দিয়েছি তারপরই কেন্দ্র টাকা ছেড়েছে ।"
তিনি এ দিন এও বলেছেন, সিএজি রিপোর্টে 2020-21-এর কথা বলা হলেও সেখানে বলা হয়েছে, এটি 2002-03 সাল থেকে ধরা হচ্ছে । কুড়ি বছরের রিপোর্ট কীভাবে একটি বছরের রিপোর্টে অন্তর্ভুক্ত করা হতে পারে সেই প্রশ্ন তুলেছেন মুখ্যসচিব । তিনি বলছেন, এটাই সবচেয়ে বড় বিভ্রান্তির কারণ । মুখ্যসচিব বলেন, "যেহেতু সব ইউসি জমা হয়েছে, তাই সিএজির এই রিপোর্ট আমরা মানতে পারছি না । রিপোর্ট সঠিক নয় ।"