পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / state

পর্ষদের উদাসীনতায় ব়্যাংক থেকে বঞ্চিত, মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীকে যোগ্য নম্বর দেওয়ার নির্দেশ হাইকোর্টের - Calcutta High Court - CALCUTTA HIGH COURT

Calcutta High Court: মধ্যশিক্ষা পর্ষদের উদাসীনতায় ব়্যাংক থেকে বঞ্চিত হয় নরেন্দ্রপুর সারদা বিদ্যাপীঠের ছাত্র ৷ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীকে তার যোগ্য প্রাপ্ত নম্বর দেওয়ার নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু ৷

Calcutta High Court
Calcutta High Court

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Apr 17, 2024, 4:07 PM IST

মামলাকারীর আইনজীবী আশিসকুমার চৌধুরী

কলকাতা, 17 এপ্রিল:মধ্যশিক্ষা পর্ষদের উদাসীনতার আরও একটি নজির ! ঠিক করে খাতা না দেখায় যোগ্য নম্বর থেকে বঞ্চিত হয় মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ৷ এর ফলে হাতছাড়া হয় তার ব়্যাংকও ৷ তিন সপ্তাহের মধ্যে ওই ছাত্রকে তার প্রাপ্ত নম্বর দেওয়ার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট ৷ এক বছর আগে তন্ময় পতির প্রাপ্ত নম্বর ছিল 672, যা বর্তমানে বেড়ে দাঁড়াল 685.5 । যে ছাত্র ওই বছর দশম স্থান পেয়েছিল তার প্রাপ্ত নম্বর ছিল 684 ।

জানা গিয়েছে, সোনারপুরের বাসিন্দা তন্ময় পতি ৷ নরেন্দ্রপুর সারদা বিদ্যাপীঠের ছাত্র সে । 2023 সালে মাধ্যমিক পরীক্ষা দেয় তন্ময় ৷ মাধ্যমিক পরীক্ষায় 700 নম্বরের মধ্যে 672 নম্বর পেয়েছিল সে । কিন্তু মাধ্যমিকে তার আশানুরূপ ফল না হওয়ার কারণে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিল ওই ছাত্র । তাই পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের কাছে স্ক্রুটিনি করার আবেদন জানায় সে । তন্ময়ের পরীক্ষা দেওয়ার খাতাগুলো ফের একবার সে দেখতে চায় ৷ ইতিহাস, অংক ও বাংলা ভাষায় যা নম্বর পেয়েছিল, তার থেকে আরও বেশি নম্বর পেতে পারত বলে নিশ্চিত ছিল তন্ময় । কিন্তু কেন কম নম্বর পেল তা জানতেই পর্ষদের কাছে স্ক্রুটিনির আবেদন করে সে ।

মামলাকারী তন্ময় পতির পক্ষের আইনজীবী আশিসকুমার চৌধুরী জানান, স্ক্রুটিনির আবেদন করতেই মধ্যশিক্ষা পর্ষদ শুধুমাত্র ইতিহাসে ছাত্রের 5 নম্বর বাড়িয়ে দেয় । তার ফলে 672 থেকে তখন তার প্রাপ্ত নম্বর বেড়ে দাঁড়ায় 677 । কিন্তু বাংলা ও অংক বিষয়ের ফলাফল অপরিবর্তিত রাখে পর্ষদ । মাধ্যমিকের ছাত্র তন্ময়ের দৃঢ় বিশ্বাস ছিল সে মাধ্যমিক পরীক্ষায় এক থেকে দশম স্থানের মধ্যে থাকবে । তাই বাংলা ও অংকের উত্তরপত্রের কপি দেখতে চেয়ে সে ফের আবেদন জানায় পর্ষদের কাছে । 7 অগস্ট 2023 সালে উত্তরপত্র হাতে পেয়ে তন্ময় দেখতে পায় তার বাংলায় সঠিক উত্তরের সাড়ে 6 নম্বর দেওয়াই হয়নি এবং অংকে 2 নম্বর কম দেওয়া হয়েছে ।

আশিসকুমার চৌধুরীর কথায়, মধ্যশিক্ষা পর্ষদের অসতর্কতার কারণে তন্ময় মানসিকভাবে সম্পূর্ণ ভেঙে পড়ে ৷ বোর্ডের নির্দেশমতো সে এই নম্বর পাওয়ার জন্য গত 14 অগস্ট আবেদন জানায় । সে সম্পূর্ণ নম্বর পেলে মোট প্রাপ্ত নম্বর হবে 685.5 ৷ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ আজ পর্যন্ত তার জবাবের কোনও উত্তর দেয়নি । অথচ সারা রাজ্যে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের মধ্যে সে দশম স্থানে থাকা সত্ত্বেও তাকে সরকারিভাবে কোনও স্থান (ব়্যাংক) দেওয়া হয়নি । সরকারি তরফ থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের মধ্যে যারা শীর্ষস্থান পেয়েছিল তাদের বিশেষ সম্মান দেওয়া হয়েছে, অথচ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের উদাসীনতার কারণে একজন মেধাবী ছাত্র তার যোগ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছে ৷ এই কারণেই সে নিরুপায় হয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় ।

হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসে ওঠে তন্ময়ের মামলাটি ৷ এই মামলার শুনানিতে তন্ময় পতির প্রাপ্ত নম্বর দেখে বিস্ময় প্রকাশ করেন বিচারপতি । আইনজীবী আশিসকুমার চৌধুরীর কাছে জানতে চান তন্ময় কোন স্কুলের ছাত্র । কেন তার নম্বর কাউন্ট হয়নি সেই বিষয়েও জানতে চান বিচারপতি । এরপরেই সব শুনে বিচারপতি নির্দেশ দেন, মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে তন্ময়ের আবেদন মঞ্জুর করতে হবে এবং তার প্রাপ্ত নম্বর তাকে দিতে হবে ।

আরও পড়ুন:

  1. বাম আমলের নিয়োগের জট কাটাতে হাইকোর্টে মামলা তিন জেলায় চাকরি প্রার্থীদের
  2. লাখ লাখ টাকা নিয়ে অযোগ্য প্রার্থী নিয়োগ করা হয়েছে, চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট সিবিআইয়ের
  3. কেমন হবে একাদশের সেমেস্টার পদ্ধতির প্রথম ও তৃতীয় পরীক্ষার ধরন, জানাল সংসদ

ABOUT THE AUTHOR

...view details