হাইকোর্টের রায়ে সরব ব্রাত্য, মুখ্য়মন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি সুকান্ত'র বালুরঘাট, 22 এপ্রিল: এসএসসি মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের রায় ঘোষণায় ফলে 26 হাজার চাকরি বাতিল হয়েছে। লোকসভা নির্বাচনের আগে এই রায় ঘোষণা নিয়ে বালুরঘাটে সরব হলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাট কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদার ৷ অন্যদিকে, মুখ খুললেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুও।
শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানিয়েছেন, আদালতের রিপোর্ট এখনও তিনি হাতে পাননি। তবে স্কুল সার্ভিস কমিশনের কর্তাদের সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে। শিক্ষক, অ-শিক্ষক মিলিয়ে চার-পাঁচ হাজার নিয়োগের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল। কিন্তু প্রায় 26 হাজার জনের চাকরি গেল ৷ অর্থাৎ যারা যোগ্য (প্রায় 19 হাজার) তাঁরাও চাকরি হারালেন। অথচ এসএসসিকেই মাননীয় বিচারপতি বলছেন, নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া চালু করতে। তিনি আরও বলেন, "আইনি পরামর্শ নেব এই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়া যায় কি না। কারণ প্রায় 19 হাজার জনের যোগ্য প্রার্থীদের চাকরি চলে গেল। আমি জনপ্রতিনিধি হিসেবে সেটা চিন্তার বিষয় বলে মনে করি ৷ তাছাড়া এই যোগ্য প্রার্থীদের চাকরি চলে যাওয়ায় বিজেপিরা যেভাবে আনন্দ প্রকাশ করছে, আস্ফালন করছে সেটা খুবই বেদনার এবং দুঃখজনক।"
আদালতের রায়ের পর বালুরঘাটে সাংসদ সুকান্ত মজুমদার বলেন, "মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিত। তৃণমূল সরকারের আমলে শিক্ষকদের চাকরি গরু, ছাগল, হাঁস, মুরগিদের মতো হাটে-বাজারে বিক্রি হয়েছে। তার ফল এই 25 হাজার পরিবারকে ভুগতে হচ্ছে ৷ তাঁরা অথৈ জলে পড়ে গেলেন। এর দায় মুখ্যমন্ত্রীকেই নিতে হবে। আমি মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করছি।"
প্রসঙ্গত, রাজ্যে এসএসসির নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে একাধিক মামলা হয় হাইকোর্টে। এসএসসির গ্ৰুপ-সি, গ্ৰুপ-ডি, নবম-দশম এবং একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শূন্যপদের নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। সেই মামলায় সোমবার 25 হাজার 753 জনের চাকরি বাতিল করে দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। 350টি মামলার আবেদনে 280 পাতার রায়ে উচ্চ আদালতের তরফে জানানো হয়েছে পুরো প্যানেল বাতিল। আদালতের তরফে জানানো হয়েছে পুরো নিয়োগ বাতিল করা হল এবং সিবিআই এই ঘটনার তদন্ত চালিয়ে যাবে ৷
আরও পড়ুন:
- 'রায়কে চ্যালেঞ্জ করছি', চাকরি বাতিল হওয়া 26 হাজার শিক্ষকের পাশে মমতা
- এসএসসি নিয়োগ বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের যাচ্ছে কমিশন
- 25,753 জনের নিয়োগ বাতিল, হাইকোর্টের রায়ে অখুশি এসএসসি যাচ্ছে শীর্ষ আদালতে