কলকাতা, 9 অগস্ট: আরজি কর হাসপাতালের মহিলা ট্রেনি চিকিৎসকের অস্বাভাবিক দেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়াল। শুক্রবার, ইমারজেন্সি বিল্ডিংয়ের চারতলার সেমিনার হলে তাঁর দেহ দেখতে পাওয়া যায়। ওই মহিলা চিকিৎসকের গায়ে অজস্র দাগ ছিল বলে জানা গিয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে তিনি নাইট ডিউটিতে ছিলেন ৷ মেডিক্যাল পড়ুয়ার বাবা অভিযোগ করেন, তাকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে ৷ খবর পেয়েই মৃত চিকিৎসকের বাবাকে ফোন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ ঘটনাস্থলে গিয়ে একপ্রস্থ তদন্ত করেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল-সহ উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা।
এদিন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ বলেন, "এই ঘটনাটি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক এবং রহস্যজনক। মৃতের বাবার সঙ্গে মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী টেলিফোনে কথা বলেছেন ৷ পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে ৷ আমরা নিশ্চিত যে, প্রকৃত সত্য বেরিয়ে আসবে ৷ অপরাধীদের রেহাই দেওয়া উচিত নয় ৷"
সঠিক ঘটনাটি কী হয়েছিল, তা জানার জন্য ইতিমধ্যেই আরজি কর হাসপাতালে সেমিনার হলের চারতলায় পৌঁছে গিয়েছেন কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের একটি বিশেষ দল। পাশাপাশি কলকাতা পুলিশের আধিকারিকরা সংশ্লিষ্ট যাবতীয় সিসিটিভি ক্যামেরা ইতিমধ্যেই বাজেয়াপ্ত করেছেন ৷ লালবাজার সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত স্থানীয় টালা থানায় কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি ৷ তবে মহিলার দেহ দেখে প্রাথমিকভাবে পুলিশ অনুমান করছে, যে মৃত্যুর আগে তার সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয়েছিল কি না ৷
ঘটনাস্থলে পৌঁছয় কলকাতা পুলিশের ফরেন্সের টিম। যেখান থেকেই মহিলা পড়ুয়া চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার হয়েছে সেখানে যাবতীয় নমুনা তারা সংগ্রহ করছে। এই বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কলকাতা পুলিশের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক বলেন, "সবেমাত্র ঘটনাটি জানাজানি হয়েছে। কলকাতা পুলিশের হোমিসাইড বিভাগের গোয়েন্দারা ঘটনাস্থলে গিয়েছেন। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। ওই হাসপাতালের একাধিক চিকিৎসকের সঙ্গেও পৃথক পৃথকভাবে কথা বলছেন কলকাতা পুলিশের হোমিসাইড বিভাগের গোয়েন্দারা।"
এক বছর আগে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্রের দেহ উদ্ধার হয়েছিল এবং সেই ঘটনায় অভিযোগ ওঠে ওই ছাত্রকে ব়্যাগিং করা হয়েছিল। আরজি কর হাসপাতালে উদ্ধার হওয়া মহিলা ট্রেনি চিকিৎসকের সঙ্গেও কি একই ঘটনা ঘটেছে ? সেই বিষয়টিও ভালোভাবে খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা।