পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / state

আরজি কর হাসপাতালে রক্তমাখা গ্লাভস, তদন্তের নির্দেশ স্বাস্থ্যসচিবের

রাজের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো নিয়ে প্রথম থেকেই প্রশ্ন তুলছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা ৷ এরই মধ্যে আরজি কর হাসপাতালের ট্রমা কেয়ার বিভাগে এল রক্তমাখা গ্লাভস ৷

RG Kar Hospital
আরজি কর হাসপাতালে রক্তমাখা গ্লাভস (ইটিভি ভারত)

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Oct 10, 2024, 2:57 PM IST

Updated : Oct 10, 2024, 3:05 PM IST

কলকাতা, 10 অক্টোবর: জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলন চলছে। ন্যায়বিচারের পাশাপশি রাজের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো উন্নতির দাবি নিয়ে অনশন-আন্দোলন করছেন তাঁরা। এত আন্দোলনের মধ্যেও আরজি কর হাসপাতালে এলে পৌঁছল রক্তমাখা গ্লাভস ৷ ট্রমা কেয়ার বিভাগে আসে এই গ্লাভস। যা দেখে আরও ক্ষুদ্ধ হয়ে যান জুনিয়র চিকিৎসকরা।

এই ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম। সেন্ট্রাল মেডিক্যাল স্টোরকে এই ঘটনা তদন্ত করবে। পাশাপাশি রক্তমাখা গ্লাভস সরিয়ে রাখার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে স্বাস্থ্য ভবনের তরফে ৷ আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসক পড়ুয়া ধর্ষণ ও খুনের বিচারের পাশাপাশি স্বাস্থ্য পরিকাঠামো উন্নতি-সহ 10 দফা দাবিতে গত শনিবার রাত থেকে ধর্মতলায় অনশনে বসেছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা ৷ বুধবার রাতে স্বাস্থ্যভবনে মুখ্যসচিবের সঙ্গে বৈঠকে কোনও সমাধানসূত্র না-মেলায় বৃহস্পতিবারও অনশন জারি রাখেন তাঁরা ৷ এদিন জুনিয়িরদের অনশনে মঞ্চে হাজির হন সিনিয়র চিকিৎসকরাও ৷

জুনিয়র চিকিৎসকরা আন্দোলন শুরুর সময় অভিযোগ করেছিলেন, উন্নত মানের জিনিস হাসপাতালে আসছে না। তাঁদের অভিযোগ, সেই সমস্ত জিনিস দিয়ে রোগীদের চিকিৎসা করা হত। মুখ্যসচিব মনোজ পন্থের সঙ্গে বৈঠকের সময় বারবার এসব জিনিস তুলে ধরেছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। সেই অভিযোগের মাঝেই এই ঘটনা আরজি কর হাসপাতালে। যাকে ঘিরে ফের চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

এই বিষয় আরজি কর হাসপাতালের ট্রমা কেয়ার বিভাগে মেডিকেল অফিসার তাপস প্রামানিক বলেন, "এটা নতুন নয়, এর আগেও এ ধরনের জিনিস আমরা দেখতে পেয়েছি। এই সমস্ত কিছুই শুরু হয়েছিল সন্দীপ ঘোষের আমলে। বিভিন্ন দুর্নীতি করে দুটো সংস্থার থেকে জিনিসপত্র আসত। কারণ তাদেরকেই টেন্ডার দেওয়া ছিল। ঘটনার তদন্ত করছে সিবিআই। তবে এই ঘটনা চলার মধ্যে আবারও একই জিনিস।" ইতিমধ্যে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের তরফে বলা হয়েছে যে সমস্ত জিনিস এবার হাসপাতালে আসবে তা আগে পরীক্ষা করতে হবে।

Last Updated : Oct 10, 2024, 3:05 PM IST

ABOUT THE AUTHOR

...view details