কলকাতা, 7 মে: শ্লীলতাহানি কাণ্ডে নয়া মোড়। রাজ্যের মুখ্যসচিব ভগবতী প্রসাদ গোপালিকা এবং কলকাতার পুলিশ কমিশনার বীনিত কুমারকে চিঠি পাঠাল রাজভবন। সূত্রের দাবি, রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের নির্দেশেই মঙ্গলবার ই-মেইল মারফত এবং লালবাজারে চিঠির প্রতিলিপিও পাঠানো হয়েছে। মূলত, রাজ্যপালের বিরুদ্ধে ওঠা শ্লীলতাহানির অভিযোগ ও সেই সংক্রান্ত বিষয়ে তদন্ত নিয়েই এই চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে রাজভবন সূত্রে দাবি করা হয়েছে।
কারণ হিসাবে জানা যাচ্ছে, সংবিধানের 361 অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতি বা কোনও রাজ্যের রাজ্যপালের বিরুদ্ধে তাঁর কার্যকালের সময়ে কোনও আদালতে কোনওরকম ফৌজদারি কার্যবিধি চালু বা অব্যাহত রাখা যায় না। ফলে, এখনও পর্যন্ত কলকাতা পুলিশ এই বিষয়ে কতদূর পদক্ষেপ নিয়েছে, সে বিষয়ে আদৌ কোনও পদক্ষেপ করতে পারে কী, পারে না, সেই সংক্রান্ত বিষয় বিস্তারিত লিখে পাঠানো হয়েছে বলে রাজভবন সূত্রে দাবি করা হয়েছে। যদিও এই চিঠির বিষয়ে রাজভবন থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে কোনও মন্তব্য করা হয়নি বা তথ্যও দেওয়া হয়নি।
অন্যদিকে, রাজভবনের যে অস্থায়ী কর্মী রাজ্যপালের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ এনেছিলেন, তিনিও মঙ্গলবার রাজভবনে অনুপস্থিত ছিলেন। সূত্রের খবর, অভিযোগ করার পরদিন থেকেই রাজভবনে কাজে আসছেন না তিনি। এমনকী, রাজভবনের কোয়ার্টারেও থাকছেন না। কলকাতা পুলিশের কড়া নিরাপত্তায় শহরেরই এক জায়গায় তিনি আছেন এই মুহূর্তে। আগামীতেও তিনি রাজভবনে কাজ করবেন না বলেই মনে করা হচ্ছে। কারণ, ওই মহিলা ইতিমধ্যে সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন যে, রাজভবনে কাজে ফেরার মানসিক অবস্থায় তিনি নেই।
এদিকে, অভিযোগ ওঠার পর দিনই কলকাতা ছেড়েছেন রাজ্যপাল আনন্দ বোস। পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি সেরে কোচি থেকে তিনি সোমবারই কলকাতা ফিরেছেন। সংবাদ মাধ্যমের প্রশ্নের উত্তরে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশও করেছেন। রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান হিসেবে তিনি বরাবরই রাজনীতির বাইরে থাকতে চেয়েছিলেন। কিন্তু, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই তাঁকে রাজনীতির ময়দানে টেনে এনেছেন বলে দাবি করেছেন সিভি আনন্দ বোস।