আসানসোল, 12 সেপ্টেম্বর: এক সন্দীপকে নিয়ে যখন তোলপাড় রাজ্য, তখন সিবিআইয়ের হাতে ধরা পড়া আরেক সন্দীপ দোষী সাবস্ত্য হয়ে শ্রীঘরে গেল । অবশ্য ইনি ঘোষ নন, সাধু । রাষ্ট্রায়ত্ত কয়লা সংস্থা ইসিএলে অ্যাপ্রেনটিস বা শিক্ষানবিশ হিসেবে যোগদানে সুযোগ পাওয়া এক যুবকের কাছে 1 লক্ষ টাকা ঘুষ নেওয়ার দায়ে সন্দীপ সাধুকে গ্রেফতার করা হয়েছিল ৷ এই ইসিএল কর্মীকে 10 বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিল আসানসোল সিবিআই আদালত ।
জানা গিয়েছে, সিবিআই এই ঘটনার তদন্ত করেছিল । বুধবার আসানসোল সিবিআই আদালতের বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী অভিযুক্ত ইসিএল কর্মী সন্দীপ সাধুকে দুটি ধারায় দোষী সাব্যস্ত করেন এবং 5 বছর করে 10 বছর কারাদণ্ডের সাজা শোনান । পাশাপাশি 50 হাজার টাকা তার জরিমানাও করা হয়েছে । অনাদায়ে আরও 6 মাস তাকে কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে ।
আসানসোল উত্তর থানার কাখয়া গ্রামের বাসিন্দা সন্দীপ সাধু । সাঁকতোড়িয়ায় ইসিএলের সদর দফতরে ডেসপ্যাচ বিভাগের কর্মী ছিলেন তিনি । 2018 সালে ওড়িশার ঝারসুগদার বাসিন্দা অজয় দাস পানিকার ইসিএলে অ্যাপ্রেন্টিস বা শিক্ষানবিশের নিয়োগপত্র পেয়েছিলেন । ইসিএলের সদর দফতরে এসে কাজে যোগ দিতে চাইলে অজয়ের কাছে 1 লক্ষ টাকা ঘুষ চেয়েছিল সন্দীপ । স্পষ্ট জানিয়েছিল, টাকা ছাড়া চাকরি হবে না । এই ঘটনার পর অজয় সিবিআইয়ের দ্বারস্থ হন । সিবিআই তদন্তে নেমে ইসিএলের অভিযুক্ত কর্মী সন্দীপ সাধুকে গ্রেফতার করে । তার সঙ্গে আরও দুই অভিযুক্ত ছিল ।
যদিও তথ্য প্রমাণের অভাবে বিচারক বাকি দু'জনকে বেকসুর খালাস করে দেন । এই মামলায় মোট 13 জন সাক্ষী দেন আসানসোল সিবিআই আদালতে । সিবিআই অভিযুক্ত তিনজনের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা করেছিল । বিচারক সব দিক বিচার করে সন্দীপ সাধুকে দোষী সাব্যস্ত করে 10 বছরের সশ্রম কারদণ্ডের সাজা শোনান । আদালতে সন্দীপ সাধু তার আইনজীবীর মাধ্যমে শারীরিক অসুস্থতা দেখিয়ে সাজা কম করার আবেদন করেছিল । যদিও তা পুরোপুরি গ্রাহ্য হয়নি । সাজাপ্রাপ্ত আসামীর আইনজীবী সোমনাথ চট্টরাজ জানান, আগামিদিনে উচ্চ আদালতে আবেদন করবেন সন্দীপ সাধু ।