তারকেশ্বর, 1 জুলাই: তাঁর সামনেই স্বামী এবং ছেলে মিলে তাঁর ভাই বিশ্বজিৎ মান্নাকে পিটিয়েছে ৷ আর তার জেরেই মৃত্যু হয়েছে বিশ্বজিতের ৷ তারকেশ্বরের যুবককে পিটিয়ে খুনের মামলায় এমনই দাবি করলেন অভিযুক্ত বিকাশ সামন্তের স্ত্রী রেখা সামন্ত ৷ তাঁর বক্তব্য, বিশ্বজিৎ টাকা চুরির কথা স্বীকার করেছিলেন ৷ তবে, তিনি টাকা কোথায় রেখেছিলেন, তা বলছিলেন না ৷ সেই রাগেই তাঁর স্বামী এবং ছেলে বিশ্বজিৎকে বেধড়ক মারধর করেন ৷ যদিও, পুলিশ রেখা সামন্তের বক্তব্য নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চায়নি ৷
তারকেশ্বরে দিদির সামনেই ভাইকে পিটিয়ে মারার অভিযোগ জামাইবাবু এবং ভাগ্নের বিরুদ্ধে ৷ (ইটিভি ভারত) অন্যদিকে, আজ বেলা গড়াতেই অভিযুক্ত বিকাশ সামন্ত এবং তাঁর ছেলে দেবকান্ত সামন্তর বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন স্থানীয়রা ৷ বিশেষত, এলাকার মহিলারা অভিযুক্তদের বাড়িতে চড়াও হন ৷ তাঁরা রেখা সামন্তকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন ৷ খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায় এবং বিক্ষোভকারীদের সেখান থেকে সরিয়ে দেয় ৷ এরপরেই হুগলি গ্রামীণের ডিএসপি হেড কোয়ার্টার অগ্নিশ্বর চৌধুরী সেখানে পৌঁছন ৷ তিনি রেখা সামন্তের সঙ্গে কথা বলেন ৷ যে মুড়ির গোডাউনে বিশ্বজিৎকে পিটিয়ে মারা হয়েছে সেখানে গিয়ে তদন্ত করে পুলিশ ৷
উল্লেখ্য, মৃত বিশ্বজিৎ মান্না সম্পর্কে রেখা সামন্তের খুড়তুতো ভাই ৷ রেখা সামন্ত জানিয়েছেন, তাঁরা বাড়িতে ছিলেন না, বিয়েবাড়ি গিয়েছিলেন ৷ বাড়িতে মুড়ি বিক্রির প্রায় 50 হাজার টাকা ছিল ৷ সেই টাকাই চুরি করেছিলেন বিশ্বজিৎ ৷ তাঁর অভিযোগ, বিশ্বজিৎকে যখন তাঁর স্বামী এবং ছেলে তুলে এনেছিলেন, তখন তিনি টাকা চুরির কথা স্বীকার করেন ৷ কিন্তু, টাকা কোথায় রেখেছেন, তা সঠিকভাবে বলছিলেন না ৷ এরপরেই বিকাশ এবং তাঁর ছেলে দেবকান্ত বিশ্বজিৎকে পাইপ দিয়ে মারতে শুরু করেন ৷ তিনি বাধা দেওয়া চেষ্টাও করেছিলেন ৷ কিন্তু, তাঁরা কোনও কথা শোনেননি ৷
যদিও, হুগলি গ্রামীণের ডিএসপি হেড কোয়ার্টার রেখা সামন্তর বক্তব্য নিয়ে কোনও কথা বলেননি ৷ তিনি জানিয়েছেন, "আমরা একটা মারধরের অভিযোগ পেয়েছি ৷ যে ঘটনায় যুবকের মৃত্যু হয়েছে ৷ একটা এফআইআর দায়ের হয়েছে খুনের ৷ আমরা দু’জনকে গ্রেফতার করেছি ৷ এরপর তদন্ত করে দেখা হবে, এই ঘটনায় আসল কী কারণ রয়েছে ৷ চুরির অভিযোগে পিটিয়ে মারার যে দাবি করা হচ্ছে, তা আমরা খতিয়ে দেখছি ৷ আগে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসবে ৷ তারপরেই মৃত্যুর আসল কারণ নিয়ে কিছু বলা যাবে ৷"