কলকাতা, 10 অগস্ট: আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের ভিতরে সর্বত্র অবাধ যাতায়াত ছিল অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ারের ৷ অনেক দিন ধরেই ওই মহিলা চিকিৎসককে টার্গেট করেছিল অভিযুক্ত সঞ্জয় দাস ৷ শনিবার তদন্তে নেমে এই তথ্য জানতে পেরেছে তদন্তকারীরা ৷
শুক্রবার সকালে আরজি কর হাসপাতালের চারতলায় একটি সেমিনার হল থেকে মহিলা পড়ুয়া-চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার হয় ৷ তাঁকে ধর্ষণ করে তারপর খুনের অভিযোগ উঠেছে ৷ এই ঘটনায় শুক্রবার রাতে পুলিশ সঞ্জয় দাস নামের যুবককে জিজ্ঞাসাবাদ করে ৷ তার বক্তব্যে অসঙ্গতি ধরা পড়ে ৷ শনিবার সকালে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ ৷ সে সিভিক ভলান্টিয়ার ৷ হাসপাতালের আনাচে-কানাচে তার গতিবিধি ছিল অবাধ ৷ অনেক দিন ধরে ওই সিভিক ভলান্টিয়ার ওই পড়ুয়া মহিলা ডাক্তারকে নিশানা করেছিল ৷
এই ঘটনায় পুলিশকে ভাবাচ্ছে, সিভিক ভলান্টিয়ারদের হাসপাতালের গতিবিধির বিষয়টি ৷ হাসপাতালের কতটা সীমানা পর্যন্ত যেতে পারা যাবে, সেই নিয়েও বিস্তারিত গাইডলাইন তৈরির পথে কলকাতা পুলিশ ৷ ফলে এবার সরকারি হাসপাতালে ভলান্টিয়ারদের গতিবিধি রুখতে সক্রিয় হচ্ছে লালবাজার ৷ এই বিষয় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কলকাতা পুলিশের এক উচ্চোপদস্থ আধিকারিক বলেন, "বিষয়টি আমরা ভালোভাবে খতিয়ে দেখে তবেই সম্পূর্ণ বলতে পারব ৷"
একজন সিভিক ভলান্টিয়ার হাসপাতালের কতটা সীমানা পর্যন্ত যেতে পারবে ?
এই বিষয়ে বিজেপি নেতা ও প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি রাহুল সিনহা ইটিভি ভারতকে বলেন, "ভলান্টিয়ার হল তৃণমূলের পোষা গুন্ডা ৷ এটা হল নিজের পার্টির মস্তানদের ঢুকিয়ে দেওয়ার একটা বিষয় ৷ এদেরকে অবাধ দিয়ে দেওয়া হয়েছে ৷ এরা রাজনৈতিকভাবে পুলিশের সঙ্গে যদি যুক্ত না হত, তাহলে এই প্রকারের ঘটনা ঘটত না ৷ এদেরকে পুলিশের মতোই ক্ষমতা দিয়ে দেওয়া হয়েছে ৷"