আসানসোল, 10 অগস্ট: গভীর রাতে ঝাড়খণ্ডের গিরিডি থেকে কলকাতার বাবুঘাটগামী বাসে উদ্ধার হল চারটি আগ্নেয়াস্ত্র। উদ্ধার রয়েছে দু'টি কাতুর্জ। ঝাড়খণ্ডের গিরিডি থেকে এই অস্ত্রগুলি বর্ধমানে পাচারের উদ্দেশ্যে নিয়ে আসা হচ্ছিল বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। শুক্রবারের এই ঘটনায় সেলিম আনসারি নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে।
ঝাড়খণ্ড থেকে রাজ্যে অস্ত্র পাচার ! (ইটিভি ভারত) গতকাল গভীর রাতে আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের পুলিশ আধিকারিকরা গোপন সূত্রে খবর পান ঝাড়খণ্ডের একটি বাসে এরাজ্যে অস্ত্র ঢুকতে পারে। সেই মতো বাংলা-ঝাড়খণ্ড চেকপোস্ট ডুবরডিতে দায়িত্বপ্রাপ্ত কুলটি থানার চৌরঙ্গি ফাঁড়ির পুলিশ আধিকারিকদের সতর্ক করা হয়। পুলিশের নির্দিষ্ট সূত্র অনুযায়ী, খবর পাওয়ার পর ঝাড়খণ্ডের গিরিডি থেকে আসা একটি বাসে তল্লাশি চালায় পুলিশ। আর তাতেই একটি নীল ব্যাগ থেকে চারটি দেশি রিভলভার এবং দু'টি তাজা কাতুর্জ উদ্ধার করতে পেরেছে পুলিশ।
এই ঘটনায় সেলিম আনসারি নামে এক পাচারকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশের অনুমান, এই ব্যক্তি প্রায়শই ঝাড়খণ্ড থেকে এরাজ্যে অস্ত্র পাচার করত। জানা গিয়েছে, বাসটি ঝাড়খণ্ডের গিরিডি থেকে বাবুঘাট যাচ্ছিল। সেলিম আনসারি ও তার এক সঙ্গী সেই বাসে যাত্রী সেজে উঠেছিল গিরিডি থেকেই। বাসের ড্রাইভার মহম্মদ মকসুদ জানাচ্ছেন, অভিযুক্ত সেলিম ও তার সঙ্গী প্রায়শই গিরিডি থেকে বর্ধমান আসত। নিজেদেরকে পরিচয় দিয়েছিল তারা ফ্যাক্টরিতে কাজ করে। নিত্যযাত্রী ছিল বলে চালক তাদের চিনতেন।
যদিও অস্ত্র পাচারের এই ঘটনা চালকের বিন্দুমাত্র জানা ছিল না বলেই তিনি দাবি করেছেন। নিত্যযাত্রী সেজে এভাবে দুষ্কৃতীরা যে রাজ্যে অস্ত্র ঢুকিয়েছে তা স্পষ্ট হতে শুরু হয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের এসিপি শেখ জাভেদ হোসেন। তিনি বলেন, "চারটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। তার সঙ্গে দু'টি কাতুর্জও রয়েছে। একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।" যদিও অভিযুক্ত সেলিম আনসারির সঙ্গী এই তল্লাশি চালানোর সময় পালিয়ে যায়।
কয়েকদিন আগেই আসানসোলে এক স্কুল পড়ুয়া গুলিবিদ্ধ হয়েছে মারা গিয়েছে। প্রশ্ন উঠেছিল স্কুল পড়ুয়াদের হাতে কী করে আগ্নেয়াস্ত্র আসতে পারে। ঠিক এইভাবেই বিহার, ঝাড়খণ্ড থেকে রাতের অন্ধকারে চুপিসারে এই রাজ্যে আগ্নেয়াস্ত্র পাচার হচ্ছে। শুধু তাই নয়, আশঙ্কা অন্য জায়গাতেও। আগামী পয়লা সেপ্টেম্বর দুর্গাপুর নগর নিগমের ভোট। এই ভোটের আগে এরাজ্যে আগ্নেয়াস্ত্র ঢুকছে দেখে চিন্তিত পুলিশ। তবে কি ভোটের দিন অশান্তি চালানোর জন্য পশ্চিম বর্ধমানে মজুত করা হচ্ছে আগ্নেয়াস্ত্র ?