কলকাতা, 31 জানুয়ারি: ঋদ্ধিমান সাহার বিদায়ী ম্যাচে জয়ের গন্ধ বাংলা শিবিরে ৷ যদিও শুক্রবার পঞ্জাবের বিরুদ্ধে দ্বিতীয়দিন রানের খাতা না-খুলেই ফিরলেন পাপালি ৷ তবে ব্য়াটারদের সার্বিক পারফরম্য়ান্সে উজ্জ্বল বাংলা ৷ বল হাতে চার উইকেটের পর এদিন ইডেন গার্ডেন্সে শতরানে আলো কাড়লেন সূরজ সিন্ধু জয়সওয়াল ৷ তাঁর 111 রানের ইনিংস গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে বাংলাকে পৌঁছে দিল সুবিধাজনক জায়গায় ৷ পাশাপাশি সুমন্ত গুপ্ত এবং অভিষেক পোড়েলের অর্ধশতরানে প্রথম ইনিংসে বাংলা থামল 343 রানে ৷
অভিষেক আউট হতেই এদিন ক্রিকেটের নন্দনকাননজুড়ে ঋদ্ধি আবেগ। সাজঘর থেকে মাঠে পা দেওয়ার আগে বাংলার ক্রিকেটাররা স্টাম্পার-ব্য়াটারকে 'গার্ড অব অনার' দেন। ক্রিজে পা দেওয়ার আগে সম্মান জানায় পঞ্জাব দলও। দু'পক্ষের এহেনও অভিবাদনে বিদায়ী ম্যাচে হয়তো ফোকাস নড়ে গিয়েছিল ঋদ্ধির ৷ সাত বল খেলে শূন্য রানে আউট সৌরভ গঙ্গোপাধ্য়ায় পরবর্তী বাংলার সবচেয়ে বড় ক্রিকেট নক্ষত্র ৷ অভিষেক ম্যাচের মত বিদায়ী ম্য়াচেও পাপালির ব্যাটে সেঞ্চুরি চেয়েছিলেন অনুরাগীরা। কিন্তু তা হল কই?
তবে শতরান হাঁকিয়ে ঋদ্ধিকে যেন উপহার দিলেন সূরজ ৷ চার উইকেট নিয়ে পঞ্জাবের কোমর ভেঙে দেওয়া বোলার 185 বলে খেললেন 111 রানের ইনিংস ৷ মারলেন 14টি চার এবং চারটি ছয় ৷ এমন অলরাউন্ড পারফরম্যান্স ইডেন বহুদিন দেখেনি। 69 বলে 55 রান আসে সুমন্ত গুপ্তর ব্যাট থেকে ৷ 53 বলে 52 রান করেন অভিষেক পোড়েল ৷ দারুণ শুরু করেও বড় রানের ইনিংস খেলতে ব্য়র্থ স্টাম্পার-ব্য়াটার ৷ যদিও দ্বিতীয়দিন চার উইকেটে 119 রান নিয়ে খেলা শুরু করা বাংলা 152 রানে এগিয়ে থেকে প্রথম ইনিংস শেষ করে ৷
এরপর দ্বিতীয় ইনিংসেও বেকায়দায় পঞ্জাব। মন্দ আলোর জেরে খেলা সময়ের আগেই থামে দ্বিতীয়দিন। পঞ্জাবের রান তিন উইকেট হারিয়ে 64। এখনও 88 রানে পিছিয়ে তাঁরা ৷ ক্রিজে অমলপ্রীত সিং অপরাজিত 28 রানে, প্রভসিমরন সিং নট-আউট 9 রানে। সুমিত মোহান্ত এবং মহম্মদ কাইফ নেন একটি করে উইকেট। এদিন ইডেনে এসেছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্য়ায়। বাকি দু'দিনে বাংলার জয়ের সম্ভাবনা দেখছেন তিনি। তবে কেরল হেলায় বিহারকে হারানোয় বাংলার নক-আউট পর্বে যাওয়ার ক্ষীণ সম্ভাবনাটুকুও শেষ। সৌরভ বলছেন, "দলের গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটাররা ভারতীয় দলে ব্যস্ত থাকায় সমস্যা হয়েছে। তবে বাংলার সার্বিক পারফরম্যান্স ভালো।"