নয়াদিল্লি, 6 এপ্রিল:অঙ্ক কষে জয়ের সরণিতে প্রত্যাবর্তন মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। নয়াদিল্লিতে পঞ্জাব এফসি'র বিরুদ্ধে 1-0 গোলে জিতল সবুজ-মেরুন। 42 মিনিটে ম্যাচের একমাত্র গোল করে বাগানের শিল্ড জয়ের স্বপ্ন বেঁচে রইল। 20 ম্যাচে 42 পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয়স্থানে অবস্থান জোরালো করল তারা।
অসুস্থতার জন্য আন্তোনিও লোপেজ হাবাস দলের সঙ্গে যেতে পারেননি। এদিনও তাই হটসিটের দায়িত্ব ছিল ম্যানুয়েল মার্কুয়েজের কাঁধে। ফের হটসিটে বসে তিনি আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলে দলের বিপদ ডেকে নিয়ে আসার চেয়ে অঙ্ক কষে খেলে জয়ের সরণিতে ফেরার চেষ্টা করেছেন। এবং তাঁর সেই চেষ্টা সফল। দর্শক শূন্য স্টেডিয়ামে দুই দলের খেলা হল। যা কোভিড অতিমারির পরে প্রথমবার।
শনিবার প্রথম থেকেই মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট বলের দখল রেখে প্রতিপক্ষকে ভাঙার চেষ্টা করেছে। অন্যদিকে পঞ্জাব এফসি'রও প্ল-অফে জায়গা করতে এই ম্যাচে জয় জরুরি ছিল। কিন্তু একটি গোল বাতিল এবং দ্বিতীয়ার্ধে একাধিক সুযোগ নষ্টের খেসারত দিয়ে টপ সিক্সের লড়াই থেকে ছিটকে গেল তারা।
আক্রমণে জেসন কামিংসকে সামনে রেখে ম্যাচে নিয়ন্ত্রকের ভূমিকায় পেত্রাতোস। 42 মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে তাঁর গোল সুযোগ সন্ধানী মানসিকতার পরিচয়। এরপর বাকি সময় কখনও মনবীর, কখনও লিস্টন কোলাসোকে দিয়ে আক্রমণের জাল বুনলেন তিনি। যা থেকে একাধিকবার পঞ্জাবের গোলের মুখ খুলে গিয়েছিল। কিন্তু গোলরক্ষক রবির অসামান্য তৎপরতায় মোহনবাগান ব্যবধান বাড়াতে পারেনি।
অন্যদিকে অন্তত তিনবার গোল করার পরিস্থিতি তৈরি করে ফেলেছিল পঞ্জাব। কিন্তু জর্ডনের সহজ সুযোগ নষ্টের প্রদর্শনী ও হেক্টর ইয়ুসতের গোললাইন সেভ পঞ্জাবকে সমতায় ফিরতে দেয়নি। দুই দলই রক্ষণ সামলে জয়ের কড়ি কুড়োতে চেয়েছিল। কিন্তু পেত্রাতোসের গোল মোহনবাগানের ঝুলিতে জয় নিয়ে এসে দিল। একই সঙ্গে তাদের তুলে নিয়ে আসল দ্বিতীয় স্থানে। 11 এপ্রিল মোহনবাগান সুপারজা য়ান্টের প্রতিপক্ষ বেঙ্গালুরু এফসি। 15 এপ্রিল তারা ঘরের মাঠে খেলবে মুম্বই সিটি এফসি'র বিরুদ্ধে। যা লিগ শিল্ড খেতাবের ফাইনালের নামান্তর।
আরও পড়ুন:
- কী হয়েছে হাবাসের ? পঞ্জাব ম্যাচেও হয়তো ডাগআউটে ম্যানুয়েল
- হাবাস-সামাদকে বাইরে রেখেই কি পঞ্জাবের বিরুদ্ধে মোহনবাগান ?