কলকাতা, 1 ফেব্রুয়ারি: শনিবার চলতি আইএসএলের প্রথম ডার্বিতে মুখোমুখি মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গল ৷ তার আগে ঘর গোছাতে ব্যস্ত মোহনবাগান কোচ আন্তোনিও লোপেজ হাবাস ৷ এরমধ্যেই বৃহস্পতির সকালে জল্পনা সত্যি করে বাগান অনুশীলনে যোগ দিলেন জনি কাউকো ৷ যদিও এখনই মাঠে নামার মতো অবস্থায় নেই ফিনল্যান্ডের এই ইউরোকাপার ৷ আর ম্যাচ ফিট হলেও চলতি মরশুমে তিনি কার বদলি হবেন, তা নিয়েও রয়েছে ধোঁয়াশা ৷
এদিকে মোহনবাগান ক্লাবের টিকিট কাউন্টারে ডার্বির টিকিট বিক্রি শুরু হয়ে গিয়েছে আটচল্লিশ ঘণ্টা আগে। টিকিটের দাম যথাক্রমে দু'শো, তিনশো, চারশো, পাঁচশো। ইতিমধ্যেই দুশো টাকার টিকিট শেষ। কাউন্টারের সামনে লম্বা লাইন রয়েছে এমন নয়। যাঁরা এসেছেন তাঁরা তিনশো, চারশো, কিংবা পাঁচশো টাকা দিয়ে টিকিট কিনতে অনিচ্ছুক বা চিন্তা করছেন। উপায় না-দেখে অনেকে কিনেও নিচ্ছেন। সবমিলিয়ে ডার্বি ঘিরে চোরাস্রোত বইছে ময়দানে।
তবে বাগান সমর্থকদের স্বস্তি দিয়ে শহরে পা রাখলেন জনি কাউকো। গত মরশুমে এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে খেলার সময় দ্বিতীয়ার্ধে পায়ে চোট পান জনি কাউকো। স্ক্যান করে দেখা যায় পায়ের এসিএল ছিঁড়ে গিয়েছে এবং তাঁর ফিট হতে অনেক সময় লাগবে। এরপরই তাঁকে দেশে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় মোহনবাগান। তাঁর সঙ্গে চলতি মরশুম পর্যন্ত চুক্তি রয়েছে মোহনবাগানের। তবে তিনি কবে মাঠে নামবেন সেই বিষয়ে এখনও কিছু জানানো হয়নি। মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের প্র্যাকটিসে এলেও জনি কাউকো মাঠে নামেননি এদিন। তবে কোচ হাবাসের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ কথা বলতে দেখা যায়। প্র্যাকটিস শেষে তাঁর সঙ্গে হালকা মেজাজে আড্ডা মারেন দিমিত্রি পেত্রাতোস, জেসন কামিংসরা।
কাউকোর চোট দেখে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন হাবাস। যেহেতু চলতি মরশুম পর্যন্ত তাঁর সঙ্গে মোহনবাগানের চুক্তি রয়েছে তাই তাঁকে দেখে নেওয়ার সময় রয়েছে দলের কাছে। যদি তিনি সুস্থ হয়ে যান ও খেলার জায়গায় চলে যান সেক্ষেত্রে একজন বিদেশিকে ছেড়ে দিয়ে কাউকোর চুক্তি বাড়ানো হতে পারে। অন্যদিকে, কাউকো অপেক্ষারত সমর্থকদের আবদারে ছবিও তোলেন। তিনি বলেন, "আবার সমর্থকদের মুখে হাসি ফোটাতে চাই। সেই জন্য নিজেকে নিংড়ে দেব।" এই প্রেক্ষাপটে আর্মান্দো সাদিকুর মেজাজ ভালো নেই। তাঁকে রাখা হবে কি না, সেই ছবি পরিষ্কার নয়।