কলকাতা, 2 মার্চ: কলঙ্কিত ইস্টবেঙ্গল ৷ খেলোয়াড়দের বয়স ভাঁড়ানোর অভিযোগে লাল-হলুদের অনুর্ধ্ব-17 দলকে ব্যান করেছে ফেডারেশন ৷ মোহনবাগান সচিব দেবাশিস দত্ত বলেন, “ইস্টবেঙ্গল ব্যান হয়েছে, বড় খবর । আমার মনে হয় খুন করার চেয়েও বড় অপরাধ । ফুটবলকে নিয়ে তঞ্চকতা করেছে । আমরা যে অভিযোগ করেছিলাম তা প্রমাণিত হয়েছে । আমি কয়েকদিন আগেই বলেছিলাম নৌকা তরতরিয়ে চলবে । তা চলছে । আমরা ফুটবল খেলি । মাঠে গিয়ে মস্তানি করি না ৷”
অনুর্ধ্ব-17 যুব লিগের ডার্বিতে বয়স ভাঁড়িয়ে ফুটবলার খেলিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল এফসি । তা প্রমাণিত হওয়ায় চলতি মরসুমের জন্য ইস্টবেঙ্গলের ওপর নির্বাসনের শাস্তি চাপিয়েছে ফেডারেশন । শতাব্দী প্রাচীন ক্লাবের কাছে যা অস্বস্তিকর এবং লজ্জার । স্বাভাবিকভাবেই ময়দানে প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে । ভাস্কর গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “বয়স ভাঁড়ানো সবসময়ই অপরাধ । এই কাজ যে দলই করে থাকুক তা নিন্দনীয় । বড় দল হোক বা ছোট দল, এই কাজ ভারতীয় ফুটবলের জন্য খারাপ ছবি । যে ক্লাব এই কাজ করেছে তাদের যেমন ফুটবলারদের নথির ব্যাপারে সতর্ক হওয়া উচিত, তেমনই যে ফুটবলার এই নথি জমা দিচ্ছে তাদেরও সৎ হওয়া জরুরি । তবে বয়স ভাঁড়ানো ভারতীয় ফুটবলে বহুদিনের রোগ । সম্মেলিতভাবে চেষ্টা না-করলে এই রোগের উপশম হবে না । এখন ইস্টবেঙ্গল ধরা পড়েছে । অতীতে অন্য ক্লাবেরও একই অপরাধে ধরা পড়ার উদাহরণ রয়েছে ৷”
বয়স ভাড়ানো যে নিন্দার তা মনে করছেন অলোক মুখোপাধ্যায় । তিনিও এই কাজের বিরোধী । কারণ এর ফলে ক্ষতি হয় ফুটবলের । প্রাক্তন ডিফেন্ডার বলছেন, “এই বদভ্যাস বহু পুরনো । বেশি বয়সের ফুটবলার খেলিয়ে তাৎক্ষণিক বাজিমাত হয় । আদতে লাভ হয় না । আমাদের সময়ে এই ঘটনা প্রচুর ঘটত । এখন কম হয় । সচেতনতা বা সদিচ্ছা ক্লাব এবং ফুটবলার, দু’তরফেই জরুরি ।”