নয়াদিল্লি, 31 জানুয়ারি: চলতি অর্থবর্ষে টিকাকরণের হিসেবনিকেশ উঠে এল বাজেট-পূর্ববর্তী অর্থনৈতিক সমীক্ষায় ৷ 2024 সালের 27 নভেম্বর পর্যন্ত ইউ-উইন পোর্টালে টিকাকরণের উদ্দেশে 7.44 কোটি উপভোক্তা নিজেদের নাম নথিভুক্ত করিয়েছেন ৷ 27.84 কোটি ডোজ দেওয়ার তথ্য নথিভুক্ত হয়েছে পোর্টালে ৷
2024-25 সালের অর্থনৈতিক সমীক্ষার কথা বলার সময় আজ ভারতের টিকাকরণের প্রচেষ্টার বিষয়টি জানানো হয় ৷ শুক্রবার সংসদে প্রাক-বাজেট সমীক্ষায় স্বাস্থ্যক্ষেত্রে প্রযুক্তির অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে ভারতের অগ্রগতি কতটা, তা সবিস্তারে তুলে ধরা হয়েছে ৷ সময়মতো রোগ নির্ণয়ের জন্য স্বাস্থ্যক্ষেত্রে প্রযুক্তি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে ৷ পরিস্থিতি বুঝে চিকিৎসার জন্য টেলিহেলথ প্রযুক্তি সাহায্য নিতে পারেন কোনও ব্যক্তি ৷ এই ব্যবস্থায় রোগী ও স্বাস্থ্যকর্মীরা ভার্চুয়ালি যোগাযোগ করতে পারেন ৷
কীভাবে কাজ করে ইউ-উইন পোর্টাল ?
এই সমীক্ষা রিপোর্টে ইউ-উইন-কে একটি 'ইউজার-ফ্রেন্ডলি' প্ল্যাটফর্ম বলে উল্লেখ করা হয়েছে ৷ এই প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে কোনও জটিলতা ছাড়াই টিকাকরণের রেকর্ড, সহজ পদ্ধতিতে 'যে কোনও সময় ব্যবহারের' এবং যে কোনও জায়গায় টিকাকরণ সুবিধে পাওয়া যায় ৷
উপভোক্তারা নিজেরাই এই ওয়েব পোর্টালে অথবা মোবাইল অ্যাপে নিজেদের নাম নথিভুক্ত করতে পারেন ৷ সেখানে নির্দিষ্ট সময় বেছে নেওয়া এবং পরবর্তী ডোজের আগে এসএমএস পেতে পারেন ৷ ইউ-উইন পোর্টালে কিউআর-এর উপর ভিত্তি করে টিকাকরণের ই-ভ্যাকসিনেশন সংশাপত্র পাওয়া যাবে ৷ এই পোর্টালের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় সরকারের স্বাস্থ্য প্রকল্প 'আয়ুষ্মান ভারত হেলথ অ্যাকাউন্টস' খোলা যাবে ৷
সমীক্ষা অনুযায়ী, এই পোর্টালে 11টি ভাষায় ব্যবহার করা যায় ৷ 1.7 কোটিরও বেশি গর্ভবতী মহিলা এবং 5.4 কোটি শিশুদের নাম ডিজিটাল মাধ্যমে নথিভুক্ত করা হয়েছে ৷ 26.4 কোটিরও বেশি টিকার ডোজ জিপিএস মাধ্যমে ট্র্যাক করা হয়েছে ৷ এছাড়া জাতীয় টেলিমেডিসিন পরিষেবা ই-সঞ্জীবনী'র কথাও বলা হয়েছে এই রিপোর্টে ৷ প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিষেবায় এটিই বিশ্বের সর্ববৃহৎ টেলিমেডিসিন ৷
