বিজাপুর, 19 ফেব্রুয়ারি: মোস্ট ওয়ান্টেড মাওবাদী হিডমার গ্রামে পৌঁছল নিরাপত্তা বাহিনীর দল ৷ রবিবার দেশের ভয়ঙ্কর এবং কট্টর নকশাল হিডমার গ্রাম পুবর্তীতে তেরঙা পতাকা উত্তোলন করেছে নিরাপত্তা বাহিনী । এই পতাকা উত্তোলনের কর্মসূচিতে অংশ নেন পুবর্তী গ্রামের বহু মানুষ । এই উপলক্ষ্যে সুকমা পুলিশ সুপার কিরণ চহ্বান জনগণের উদ্দেশে বক্তব্য রাখেন । তিনি লাল সন্ত্রাসের সঙ্গে যুক্ত যুবকদের সমাজের মূলস্রোতে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ।
কট্টর নকশাল হিডমার মায়ের সঙ্গে দেখা করেন পুলিশ সুপার এসপি কিরণ চহ্বান । ভারত সরকার এবং ছত্তিশগড় সরকারের পক্ষ থেকে সরকারি প্রকল্পের সুবিধা দেওয়ার বিষয়ে কথা বলেন তাঁর সঙ্গে ৷
বিজাপুর-সুকমার সীমান্ত এলাকা জাগারগুন্ডায় অবস্থিত ভয়ঙ্কর নকশাল হিডমার প্রাক্তন গ্রাম পুবর্তী । পুলিশ সুপার কিরণ চহ্বান এবং সিআরপিএফ কোবরা ব্যাটালিয়নের কমান্ড্যান্ট উপেন্দ্র রবিবার এই গ্রামে পৌঁছন ৷ গ্রাম ছেড়ে চলে যাওয়া লোকজনকে আবার গ্রামে বসতি স্থাপনের আবেদন জানান তাঁরা । এরপর গ্রামের প্রধান এলাকায় তেরঙা পতাকা উত্তোলন করা হয়।
এই বিষয়ে পুলিশ সুপার কিরণ চহ্বান জানান, নকশালদের অঘোষিত রাজধানী হিসেবে পরিচিত পুবর্তী গ্রামে একটি ক্যাম্প স্থাপন করেছে নিরাপত্তা বাহিনী ৷ সেখানে তেরঙা পতাকা উত্তোলন করা হয় । রাজ্যে নতুন সরকার আসার পর অভ্যন্তরীণ এলাকায় নকশালদের বিরুদ্ধে অভিযান জোরদার হয়েছে । এর আওতায় কুখ্যাত নকশাল কমান্ডার তথা নকশাল ব্যাটালিয়নের প্রধান হিডমার গ্রামে একটি ক্যাম্প খোলা হয়েছে ৷ এখানে কৌশলগত সদর দফতর তৈরি করা হচ্ছে । যেখান থেকে নকশালদের বিরুদ্ধে বড় ধরনের অভিযান শুরু ও পরিচালনা করা হবে । গত 48 ঘণ্টা ধরে নিরাপত্তা বাহিনী সেখানে ক্যাম্প করে রেখেছে এবং এই 48 ঘণ্টার মধ্যে সেনারা সাতবার নকশালদের মুখোমুখি হয়েছে ।
40 বছর পর মোস্ট ওয়ান্টেড নকশাল হিডমার গ্রামে তেরঙা পতাকা উত্তোলন করা হল । অফিসাররা হিডমার বাড়িতে গিয়ে তার মায়ের সঙ্গে দেখা করেন । তাদের মৌলিক সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হবে বলেও জানানো হয় । নকশালদের আস্তানায় ঢুকে নিরাপত্তা বাহিনীর দল আবারও নিজেদের উদ্দেশ্য প্রমাণ করেছে । এবার নকশালদের সঙ্গে সর্বাত্মক লড়াই হবে । এর আগে ছত্তিশগড় পুলিশ বাহিনী পুবর্তী গ্রামে একটি ক্যাম্প স্থাপন করেছিল । নিরাপত্তা বাহিনীর এই পদক্ষেপে খুশি প্রকাশ করেছেন নকশাল বিশেষজ্ঞরা । তাঁদের কথায়, "বামপন্থী উগ্রবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এই পদক্ষেপ নিরাপত্তা বাহিনীর জন্য একটি বড় প্রাপ্তি । এখানে একটি নিরাপত্তা শিবির স্থাপন নকশালদের বিরুদ্ধে মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধে সাহায্য করবে ।"