নয়াদিল্লি, 12 জুলাই:নয়াদিল্লি, 12 জুলাই: অবশেষে স্বস্তি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের ৷ দিল্লি আবগারি দুর্নীতি মামলায় আম আদমি পার্টির সুপ্রিমোকে অন্তর্বর্তী জামিনে মুক্তি দিল সুপ্রিম কোর্ট ৷ আবগারি দুর্নীতিতে টাকা তছরূপের অভিযোগে ইডির গ্রেফতারিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে, সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী ৷ তবে, কেজরিওয়ালকে গ্রেফতার করার এক্তিয়ার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আছে কি না, তা বিচারের জন্য ডিভিশন বেঞ্চ বিষয়টি বৃহত্তর বেঞ্চে পাঠিয়েছে ৷
গত 17 মে এই মামলার শুনানি শেষ হয়েছিল ৷ সেদিন রায় ঘোষণা স্থগিত রেখেছিল বিচারপতি সঞ্জীব খান্না এবং বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের ডিভিশন বেঞ্চ ৷ আজ সেই মামলায় রায় দিল শীর্ষ আদালত ৷ তবে, এখনই মুক্তি পাচ্ছেন না দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী ৷ কারণ, দিল্লি আবগারি মামলায় সিবিআই তাঁকে গ্রেফতার করেছে ৷ সিবিআই তদন্তে এখনও তিনি জামিন পাননি ৷ বর্তমানে সিবিআইয়ের তদন্তে তিনি জেল হেফাজতে রয়েছেন ৷ আগামী 17 জুলাই দিল্লি হাইকোর্টে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের জামিনের শুনানি রয়েছে ৷ ফলে এখনই তিহাড় থেকে মুক্তি পাচ্ছেন না তিনি ৷ উল্লেখ্য, 90 দিনের বেশি সময় তিনি কারাবন্দি রয়েছেন ৷
উল্লেখ্য, মামলার শুনানির সময় শীর্ষ আদালত ইডি-কে তদন্ত সংক্রান্ত একটি ফাইল জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছিল ৷ সেখানে উল্লেখ করা হয়, "মণিশ সিসোদিয়া গ্রেফতার হওয়ার ও তাঁর জামিনের আবেদন খারিজের রায় ঘোষণার পর এবং কেজরিওয়ালের গ্রেফতারির আগে, যে সকল সাক্ষীদের বয়ান নেওয়া হয়েছিল, আমরা তা দেখতে চাই ৷"
সেই সময় অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল এসভি রাজু আদালতকে জানিয়েছিলেন, "হাওয়ালার লেনদেন সংক্রান্ত অনেক প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে ৷ এই সংক্রান্ত হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটও উদ্ধার করা হয়েছে ৷" যার প্রেক্ষিতে ডিভিশন বেঞ্চ জিজ্ঞাসা করেছিল, "এগুলি লিখিতভাবে রেকর্ড করে 'গ্রেফতারের কারণ' হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছিল এবং তা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে দেওয়া হয়েছিল কি ?"
এর জবাবে অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল জানিয়েছিলেন, "তদন্তকারী সংস্থার অভিযুক্তের সঙ্গে সব তথ্য শেয়ার করার কথা নয় ৷" যার পাল্টা বিচারপতি প্রশ্ন করেছিলেন, "আপনি তাহলে কীভাবে অভিযোগগুলি বিশ্বাস করাবেন ? আর অভিযুক্তই বা কিসের ভিত্তিতে কারণগুলিকে চ্যালেঞ্জ করবেন ?" উল্লেখ্য, ইতিমধ্যে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট দিল্লি আবগারী দুর্নীতি মামলায় চার্জশিট পেশ করেছে ৷ যেখানে সরাসরি অরবিন্দ কেজরিওয়ালের যুক্ত থাকার কথা বলা হয়েছে ৷ উল্লেখ করা হয়েছে, এই দুর্নীতিতে 100 কোটি টাকা লেনদেনে সরসারি যুক্ত ছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী ৷