নয়াদিল্লি, 28 মে:মানব পাচার এবং সাইবার জালিয়াতির অভিযোগে 5 জনকে গ্রেফতার করল ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এনআইএ) ৷ সোমবার একাধিক রাজ্যে তল্লাশির পর তাঁদের গ্রেফতার করেছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা ৷
এদিন স্থানীয় পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকদের সঙ্গে নিয়ে মহারাষ্ট্র, উত্তরপ্রদেশ, বিহার, গুজরাত, দিল্লি, হরিয়ানা, পাঞ্জাব এবং চণ্ডীগড়ের 15টি স্থানে তল্লাশি চালায় এনআইএ ৷ তল্লাশির পর ভাদোদরা থেকে মনীশ হিঙ্গু, গোপালগঞ্জ থেকে পহলাদ সিং, দিল্লি থেকে নবিয়ালম রায়, গুরুগ্রাম থেকে বলওয়ান্ত কাটারিয়া এবং চণ্ডীগড় থেকে সর্তাজ সিং নামে 5 জনকে গ্রেফতার করা হয় ৷ তল্লাশিতে জালিয়াতি সংক্রান্ত একাধিক নথি, ল্যাপটপ, একাধিক ভুয়ো পাসপোর্ট, মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে এনআইএ ৷
ঘটনা প্রসঙ্গে একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে ৷ সেখানে বলা হয়েছে, মিথ্যা চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে দেশের যুবকদের বিদেশে পাচার করত অভিযুক্তরা ৷ গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গেল স্পেশাল ইকোনমিক জোন (এসইজেড), লাওস এবং কম্বোডিয়া-সহ একাধিক স্থানে তাঁদের ভুয়ো কল সেন্টারে কাজ করতে বাধ্য করা হত ৷ মূলত বিদেশ থেকেই পরিচালনা করা হত এই ব়্যাকেটটি ৷ আর দেশে বসে তাদের সাহায্য করতেন ধৃত অভিযুক্তরা ৷ দেশে সাইবার জালিয়াতি নতুন কোনও ঘটনা নয় ৷ বিদেশের মাটিতে বসে বাধ্য হয়ে সেই কাজে জোর করা হত এই যুবকদের ৷ এনআইএ সূত্রের খবর, ক্রেডিট কার্ড জালিয়াতি, ভুয়ো অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করে ক্রিপ্টোকারেন্সিতে বিনিয়োগ, হানি ট্র্যাপের মতো অবৈধ কাজে বাধ্য করা হত তাদের ৷
উল্লেখ্য, সম্প্রতি মানব পাচার এবং সাইবার প্রতারণা সংক্রান্ত মামলার তদন্ত করছিল মুম্বই পুলিশ ৷ 13 মে তাদের কাছ থেকে সেই তদন্তের ভার নেয় এনআইএ ৷ তদন্তে দেখা যায়, শুধুমাত্র মুম্বই নয় ৷ এই পাচারচক্রের সিন্ডিকেট ছড়িয়ে রয়েছে বিদেশে ৷ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার মতে, দেশের একাধিক রাজ্য-সহ মধ্যপ্রাচ্য, কম্বোডিয়া, ভিয়েতনাম, লাওস ইত্যাদি একাধিক দেশে ছড়িয়ে রয়েছে মানব পাচারের এই জাল ৷ আর পুরো এই জালিয়াতির সঙ্গে যুক্ত রয়েছে ধৃত 5 অভিযুক্ত ৷