বিজয়ওয়াড়া, 28 ডিসেম্বর: তেলুগু দেশের চতুর্থ সর্বাধিক কথ্য ভাষা ৷ প্রাণের ভাষার প্রতি প্রয়াত রামোজি রাওয়ের ভালোবাসা ছিল আকাশছোয়া ৷ সেই ভাষা রক্ষার জন্য অবশ্যই প্রয়োজনীয় সমস্ত প্রচেষ্টা করতে হবে । অন্ধ্রপ্রদেশে শনিবার শুরু হওয়া ষষ্ঠ বিশ্ব তেলুগু লেখক সম্মেলনের উদ্বোধনী বলে মার্গদর্শীর ডিরেক্টর শৈলজা কিরণ ৷
এদিন তেলুগু ভাষার মাহাত্ম্য এবং নিজের মাতৃভাষায় কথোপকথনের গুরুত্ব সম্পর্কে বলেন তিনি ৷ কিরণ বলেন, শুধু 'ইংরেজিতে কথা বলাই ভালো' এই মানসিকতা ভুল । তিনি বলেন, “তেলুগু দেশের চতুর্থ সর্বাধিক কথ্য ভাষা এবং বিশ্বের 14তম সর্বাধিক কথ্য ভাষা। কবিতারায়ামের মতো কবিরা এটিকে জনপ্রিয় করে তুলেছেন ৷ শ্রীকৃষ্ণ দেবরায় তেলুগুকে ভারতের শ্রেষ্ঠ ভাষা হিসেবে প্রশংসা করেছেন । রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরও তেলুগু ভাষা ও সঙ্গীতের প্রশংসা করেছেন ৷"
রামোজি গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা রামোজি রাওকে স্মরণ করে কিরণ জানান, শ্রদ্ধেও রাও তেলুগু ভাষা এবং তেলুগু রাজ্যের (অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা) প্রতি তাঁর ভালোবাসা অনন্য ছিল । তিনি বলেন, “আমরা সকালে তাঁকে অভ্যর্থনা জানাতাম এবং সুভোদায়ম (তেলুগু ভাষায় গুড মর্নিং) বলতাম ৷ সবাই বাড়িতে সুভোদয়াম বলত। আমাদের বাড়িতে শিশুরা যাতে তেলুগু ভাষায় কথা বলে, তার জন্য তিনি বিশেষ যত্ন নিতেন । তাঁর স্মরণে এখন থেকে আমরা সবাই বলি শুভদয়াম । আমরা যাকে আমাদের মনে করি তাঁর প্রতি আমরা খুব যত্ন নিই । তেলুগু ভাষা আমাদের সকলের । সেজন্য আমাদের ভাষা রক্ষা ও বিকাশের জন্য আমাদের সকলকে একসঙ্গে কাজ করা উচিত ৷”