রাঁচি, 5 ফেব্রুয়ারি: সব আশঙ্কার অবসান ৷ ঝাড়খণ্ডে আস্থাভোটে জিতল চম্পাই সোরেনের সরকার ৷ সোমবার এই আস্থাভোট হয় ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় ৷ সেখানে 47 ভোট পেয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করল ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার নেতৃত্বাধীন জোট সরকার ৷ বিরোধীদের তরফে 29টি ভোট পড়ে এ দিন ৷
ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় আসন 81 ৷ সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণে চম্পাই সোরেনের সরকারের 41 জন বিধায়কের সমর্থন প্রয়োজন ছিল ৷ তবে তারা তার থেকেও ছ’টি ভোট পেয়েছে ৷ যদিও ঝাড়খণ্ডে জেএএম নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের বিধায়ক সংখ্যা 48 ৷ এর মধ্যে জেএমএমের 29, কংগ্রেসের 17 এবং আরজেডি ও সিপিআই এমএলের একজন করে বিধায়ক রয়েছেন ৷ স্বাভাবিকভাবে আস্থাভোটে জিততে কোনও সমস্যা হওয়ার কথা ছিল না ৷
তার পরও আশঙ্কার মেঘ জমেছিল ঝাড়খণ্ডের রাজনীতির আকাশে ৷ চম্পাই সোরেনের সরকার যাতে আস্থাভোটে জিততে না পারে, সেই কারণে বিজেপি কলকাঠি নাড়তে পারে বলে অনেকে অভিযোগ করেছিলেন ৷ যদিও ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী চম্পাই সোরেন তাঁর সরকারের সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে পারায় সেই আশঙ্কা সত্যি হল না ৷
উল্লেখ্য, 2019 সালের শেষে ঝাড়খণ্ড বিধানসভা নির্বাচনে জিতে ক্ষমতায় আসে জেএমএম নেতৃত্বাধীন সরকার ৷ মুখ্যমন্ত্রী হন জেএমএম-এর হেমন্ত সোরেন ৷ কিন্তু কয়েকদিন আগে দুর্নীতির মামলায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট তাঁকে গ্রেফতার করে ৷ গ্রেফতারির কিছুক্ষণ আগে রাজভবনে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেন শিবু সোরেনের পুত্র হেমন্ত ৷ তার পর ঝাড়খণ্ডে জেএমএম জোট সরকারের মুখ্যমন্ত্রী হন চম্পাই সোরেন ৷ রাজ্যপাল তাঁকে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের জন্য দশদিন সময় দিয়েছিলেন ৷ তবে তার অনেক আগেই সোমবার তিনি সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রমাণ দিয়ে আস্থাভোটে জিতলেন ৷
দুর্নীতির মামলায় গ্রেফতার হয়ে হেমন্ত সরকার এখন ইডি হেফাজতে রয়েছেন ৷ তবে আদালত তাঁকে আস্থাভোটে অংশ নেওয়ার অনুমতি দিয়েছিল ৷ সেই মতো তিনি এ দিন ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় যান ৷ সেখানে আলোচনায় অংশও নেন ৷ সেখানে তিনি সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছোঁড়েন বিজেপির উদ্দেশ্যে ৷ হেমন্ত সোরেন বলেন, ‘‘আমি বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ করছি, আমার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত হলে রাজনীতি ছেড়ে দেব ৷’’ তাঁর আরও অভিযোগ, ‘‘বিজেপি চায় না যে একজন আদিবাসী মুখ্যমন্ত্রী ঝাড়খণ্ডে পাঁচ বছর পূর্ণ করুক ৷ তারা তাদের শাসনকালেও এটা করতে দেয়নি ৷’’
আরও পড়ুন:
- দুর্নীতি প্রমাণ করতে পারলে রাজনীতি ছেড়ে দেব, বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ হেমন্ত সোরেনের
- 'জয় নিয়ে আত্মবিশ্বাসী', আস্থাভোটের আগের রাতে রাঁচি ফিরে জানালেন জোটের বিধায়করা