নয়াদিল্লি, 17 অগস্ট: কলকাতায় আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসক পড়ুয়াকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় উত্তাল দেশ ৷ ওই পড়ুয়া চিকিৎসকের নৃশংস খুনের বিচারের দাবিতে দেশজুড়ে 24 ঘন্টা ধর্মঘট ও কর্মবিরতির ডাক দিয়েছে ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (আইএমএ) ৷ চিকিৎসক সংগঠনের স্পষ্ট দাবি, সমস্ত হাসপাতালের নিরাপত্তা বিমানবন্দরের চেয়ে কোনও অংশে কম হওয়া উচিত নয়।
আজ অর্থাৎ শনিবার থেকে রবিবার সকাল 6টা পর্যন্ত এই কর্মবিরতি চলবে চিকিৎসকদের ৷ আইএমএ জানিয়েছে, চিকিৎসকদের সুরক্ষা এবং নিরাপত্তা-সহ হাসপাতালগুলিকে নিরাপদ ঘোষণা করা প্রথম পদক্ষেপ হওয়া উচিত। আইএমএ সভাপতি আরভি অশোকান বলেন, "সিসিটিভি, নিরাপত্তা কর্মীদের মোতায়েন এবং হাসপাতালের যাবতীয় প্রোটোকল অনুসরণ করতে হবে সকলকে ৷" তিনি আরও বলেন, "জরুরি অবস্থা এবং ইমারজেন্সি পরিষেবা চলবে। ওপিডি বন্ধ থাকবে ৷ কোনও সাধারণ সার্জারিও হবে না ৷ শনিবার সকাল ছ'টা থেকেই চিকিৎসকদের এই কর্মবিরতি শুরু হবে, যা রবিবার সকাল ছ'টায় শেষ হবে ৷"
আইএমএ-র দাবি, 1897 সালের মহামারী রোগ আইনে 2023 সালের সংশোধনীগুলিকে 2019 সালের খসড়া হাসপাতাল সুরক্ষা বিলের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করে আইনটিকে শক্তিশালী করা উচিত ৷ কোভিড অতিমারি চলাকালীন একটি অধ্যাদেশও রয়েছে এ বিষয়ে ৷ অশোকান জানান, 36 ঘন্টার ডিউটি শিফটে যে চিকিৎসক ছিলেন, তাঁর বিশ্রামের জন্য নিরাপদ স্থান ছিল না ৷ আবাসিক চিকিৎসকদের জন্য পর্যাপ্ত বিশ্রামকক্ষও নিশ্চিত করতে হবে।
এরই সঙ্গে, IMA নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে অপরাধের তদন্ত এবং ন্যায়বিচার প্রদানের দাবি করেছে। অশোকান আরও বলেন, "হাসপাতাল ভাঙচুরের ঘটনায় গুন্ডাদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। মৃতার পরিবারের জন্য উপযুক্ত এবং মর্যাদাপূর্ণ ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করতে হবে ৷" আরজি কর হাসপাতালে হিংসার ঘটনা, দুটি জিনিস সামনে এনেছে উল্লেখ করে, অশোকান বলেন, “নারীদের জন্য নিরাপদ স্থানের অভাব এবং সংগঠিত নিরাপত্তার অভাবে যে গুন্ডামি ছড়িয়েছে, তার জেরেই এই বর্বর অপরাধ।"
মহিলাদের রাতের দখলে রক্তাক্ত শম্পা, পুলিশকর্মীর ক্ষেত্রে 'নারী-সুরক্ষা' কোথায় ?