বারাণসী, 31 জানুয়ারি: জ্ঞানবাপী মসজিদের বেসমেন্টে পুজো করতে পারবেন হিন্দুরা ৷ বুধবার এই সংক্রান্ত মামলায় হিন্দু পক্ষকে 'ব্যাস কা তয়খানা'তে অর্থাৎ মসজিদের বেসমেন্টে পুজো করার অনুমতি দিয়েছে বারাণসী জেলা আদালত । বিচারক একে বিশ্বেশ এই রায় দেওয়ার পর জেলা প্রশাসনকে 7 দিনের মধ্যে এই রায় কার্যকর করার ব্যবস্থা করতে বলেছে ৷
হিন্দু পক্ষের আইনজীবী সুভাষ নন্দন চতুর্বেদী এ কথা জানিয়ে বলেন, "...আজ 'ব্যাস কা তয়খানা'তে পুজো করার অধিকার দেওয়া হয়েছে এবং আদালত এক সপ্তাহের মধ্যে সেই আদেশ মেনে চলার জন্য জেলা অফিসারকে নির্দেশ দিয়েছে...৷" হিন্দু পক্ষের প্রতিনিধিত্বকারী আর এক আইনজীবী বিষ্ণু শঙ্কর জৈন বলেছেন, "...পুজো শুরু হবে সাত দিনের মধ্যে । প্রত্যেকেরই পুজো করার অধিকার থাকবে...৷"
বারাণসী জেলা আদালত বুধবার একজন পুরোহিতের পরিবারকে জ্ঞানবাপী মসজিদের বেসমেন্টে হিন্দু দেবদেবীর পুজো করার অধিকার দিয়েছে বলে জানিয়েছেন হিন্দু পক্ষের আইনজীবী মদন মোহন যাদব ৷ এই নির্দেশ দিয়েছেন জেলা আদালতের বিচারক একে বিশ্বেশ ।
পিটিশন অনুসারে, পুরোহিত সোমনাথ ব্যাস 1993 সাল পর্যন্ত সেখানে পুজো করতেন, তারপর কর্তৃপক্ষ কক্ষটি বন্ধ করে দিয়েছিল । আইনজীবী মদন মোহন যাদব বলেন, জেলা প্রশাসন পুজো করার ব্যবস্থা করবে এবং এই কাজে সহায়তা করবে কাশী বিশ্বনাথ ট্রাস্ট ৷ সোমনাথ ব্যাসের নাতি শৈলেন্দ্র কুমার পাঠক সেখানে দেবতাদের পুজো করার অধিকার চেয়েছিলেন । মুসলিম পক্ষ এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করার চিন্তাভাবনা করছে ।
উল্লেখ্য, বারাণসীর জ্ঞানবাপী মসজিদ নিয়ে এএসআই সমীক্ষা রিপোর্ট 25 জানুয়ারি প্রকাশ করা হয় ৷ তার পর থেকে এই নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে ৷ কারণ, ওই রিপোর্টে মসজিদ কমপ্লেক্সের মধ্যে হিন্দু দেব-দেবীদের মূর্তি ও অন্যান্য মূর্তি থাকার প্রমাণ মিলেছে বলে দাবি করা হয় ৷ এএসআই-এর তরফে তাদের রিপোর্টের উপসংহারে বলা হয়েছে যে বিদ্যমান কাঠামো একটি মসজিদ হলেও তা নির্মাণের আগে একটি হিন্দু মন্দির ছিল ৷
আরও পড়ুন:
- জ্ঞানবাপীর সিল করা এলাকায় এএসআই-এর জরিপের দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন
- এএসআই রিপোর্ট অকাট্য নয়, জ্ঞানবাপী মসজিদে হিন্দু মন্দির তত্ত্ব মানতে নারাজ মুসলিমদের একাংশ
- জ্ঞানবাপী মসজিদের জায়গায় বড় হিন্দু মন্দির ছিল, এএসআই-এর রিপোর্টে দাবি