নয়াদিল্লি, 16 অগস্ট: হিন্ডেনবার্গের গবেষণায় যে সব তথ্য সামনে এসেছে, আদানি ইস্যু তার থেকে অনেক বড়, শুক্রবার এই দাবি করেছে কংগ্রেস ৷ দেশের রাজনৈতিক অর্থনীতির প্রতিটি প্রান্তে শিল্পপতির কারচুপি ছড়িয়ে রয়েছে, জানিয়েছে দেশের প্রাচীনতম দলটি ৷ আদানি গ্রুপের দুর্নীতির বিরুদ্ধে যুগ্ম সংসদীয় কমিটি বা জেপিসি তদন্তের দাবি তুলেছে কংগ্রেস ৷
এদিন কংগ্রেসের কমিউনিকেশনের দায়িত্বে থাকা জয়রাম রমেশ বলেন, "হিন্ডেনবার্গ রিপোর্ট তো হিমশৈলের চূড়া মাত্র ৷ এই রিপোর্টের অভিযোগগুলি পুঁজি বাজারের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ৷ আদানির মেগা স্ক্যামে যুগ্ম সংসদীয় তদন্ত চাই ৷ এই দুর্নীতি হিন্ডেনবার্গের গবেষণা ছাড়িয়ে সুদূর প্রসারিত ৷"
তিনি এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, "আমরা এইচএএইচকে-তে (হাম আদানি কে হে কৌন) 100 টি প্রশ্ন করেছি ৷ তাতে আদানি গ্রুপের দুর্নীতির বিস্তারের কথা বলা হয়েছে ৷ কীভাবে তা রাজনৈতিক অর্থনীতির সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত, তা তুলে ধরা হয়েছে ৷"
দেশের বন্দর, বিমানবন্দর, সিমেন্ট এবং অন্য বেশ কিছু সেক্টরে আদানি একচ্ছত্র অধিপতি ৷ এই ক্ষমতা দখল করার জন্য তারা দেশের তদন্তকারী এজেন্সিগুলির অপব্যবহার করেছে ৷ দুর্নীতির গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলি বিশ্লেষণ করতে গিয়ে প্রবীণ কংগ্রেস নেতা এমনটাই জানিয়েছেন ৷
তাঁর অভিযোগ, সরকারের ব্যাঙ্কগুলির ক্ষেত্রে বিশেষত এসবিআই-এর প্রতি অস্বাভাবিক রকমের পক্ষপাত করা হয়েছে ৷ এর কারণ ব্যাঙ্ক যেন আদানি গ্রুপকে তাদের মুন্দ্রাতে আদানি কপার প্ল্যান্ট, নবি মুম্বইয়ে আদানি বন্দর এবং ইউপি এক্সপ্রেসওয়ে প্রজেক্টের মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রজেক্টের জন্য ঋণ দিতে পারে ৷ ভারতের সঙ্গে প্রতিবেশী দেশগুলির সম্পর্কের সুযোগ নিয়েছে আদানি গ্রুপ ৷ দেশের বৈদেশিক নীতিগুলি আদানি এন্টারপ্রাইজেসের স্বার্থ অনুযায়ী প্রণয়ন করা হয়েছে ৷ ভারতের সঙ্গে ইজরায়েলের কৌশলী সম্পর্ক পুরোপুরি একটি কোম্পানিকে কেন্দ্র করে, তা হল আদানি ৷