জগতিয়াল, 19 অক্টোবর: কথায় আছে, প্রেম আর যুদ্ধে সবই সম্ভব ! এমনটাই করে দেখালেন তেলেঙ্গানার গোল্লাপল্লি মণ্ডলের বাসিন্দা এক যুবক ৷ এক রূপান্তরকামী মহিলাকে ভালোবেসেছিলেন তিনি ৷ সেই ভালোবাসাকে সত্যি করে তাঁকেই বিয়ে করে স্ত্রীর মর্যাদাও দিয়েছেন ৷ যুবকের পরিবার এই বিয়েকে সমর্থন করেছে এবং যুগলকে আশীর্বাদ করেছেন ৷
ঘটনার সূত্রপাত দু'বছর আগে ৷ গোল্লাপল্লি মণ্ডলের বাসিন্দা শ্রীনিবাস মালিয়ার সঙ্গে রূপান্তরকামী করুণাঞ্জলীর বন্ধুত্ব হয় ৷ পরে সেই বন্ধুত্ব থেকে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে দু'জনের মধ্যে ৷ শ্রীনিবাস কর্মসূত্রে দুবাইতে থাকতেন ৷ এর মধ্যে তিনি দেশে ফিরে আসেন ৷ একদিন সাহস করে তাঁর অন্যরকম এই ভালোবাসার কথা বাড়িতে বলেই ফেললেন যুবক ৷
প্রথম দিকে করুণাঞ্জলির সঙ্গে সম্পর্কটা নিয়ে ধাঁধায় ছিল শ্রীনিবাসের পরিবার ৷ বুঝতে পারছিল না যে ঠিক কী হতে চলেছে ৷ কারণ, রূপান্তরকামী মহিলা বা পুরুষের ধারণাটা পরিবারের অনেকের কাছেই পরিষ্কার ছিল না ৷ কিন্তু শ্রীনিবাস এক রূপান্তরকামী মহিলাকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তাঁকে স্ত্রীর মর্যাদা দেবেন ৷ সেই প্রতিজ্ঞা রাখার চেষ্টাতেই ধীরে ধীরে সব বাধা দূর হল ৷ তাঁর পরিবারের সদস্যরা এক পুরুষ এবং এক রূপান্তরকামী মহিলার এই অসম বিয়েতে রাজি হলেন ৷
এরপর ধুমধাম করেই বিয়ের করলেন শ্রীনিবাস ও করুণাঞ্জলি ৷ দুই তরফের পরিবারের সদস্যরা এই বিয়েতে হাজির ছিলেন ৷ সবরকম চিরাচরিত প্রথা, সংস্কার মেনে বিয়ে হয়েছে তাঁদের ৷ এমনকী এসেছিলেন স্থানীয় এলজিবিটিকিউ+ গোষ্ঠীর সদস্যরাও ৷ তাঁরা নাচে-গানে মাতিয়ে তোলেন বিয়ের মণ্ডপ ৷ শ্রীনিবাস যে তাঁর অন্যরকম প্রেমকে পরিণতি দিয়েছে, সেজন্য তাঁর ভূয়সী প্রশংসাও করেন ৷ সঙ্গে তাঁর পরিবারেরও, যাঁরা সবরকম গোঁড়ামি দূরে রেখে এই বিয়েকে স্বাগত জানিয়েছেন ৷