বারাসত, 30 মে : "মানুষের মনে হয়েছে তৃণমূলের এই জঙ্গলের রাজত্ব, তৃণমূলের এই অত্যাচার থেকে বাঁচার জন্য আগে তৃণমূলকে বিদায় করা দরকার । তাই দিল্লির শাসক দল, যে দল পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূলের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে তাদের ভরসা করে মানুষ ভোট দিয়েছে তৃণমূলকে সরানোর জন্য । অমুকের ভোটার, তমুকের ভোটার বলে কিছু হয় না । মানুষ অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে ঠিক করে কোনটা করতে হবে । তাই তারা মনে করেছে যে তৃণমূলের এই অত্যাচার, অপশাসন, জঙ্গলরাজের আগে অবসান হোক । তারপর বাকিটা বুঝে নেওয়া যাবে ।" আজ বারাসতে বিশেষ আদালতে একটি মামলায় হাজিরা দিতে এসে একথা বললেন CPI(M) নেতা সুশান্ত ঘোষ ।
তৃণমূলের জঙ্গলরাজ থেকে বাঁচতেই BJP-কে ভোট, দাবি সুশান্তর
তৃণমূলকে রাজ্য থেকে হটাতে BJP-কে ভোট দিয়েছে মানুষ । মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে CPI(M) নেতা সুশান্ত ঘোষ বলেন, "আজ তৃণমূলের মুখ্যমন্ত্রীকে নিজের বিরুদ্ধে নিজেকে ধরনায় বসতে হচ্ছে ।"
ভোটের আগেই কি তাহলে নিচু জেলার নেতৃত্বের কাছে এই বার্তা গেছিল ? সুশান্ত বললেন, "নাস তাদের কাছে এরকম কোনও বার্তা দেওয়া হয়নি । আমি কোনও তাত্ত্বিক নেতা নই । ভোটের ফলাফল দেখে যেটা মনে হয়েছে সেটা হল এটাই । একজন সাধারণ কর্মী হিসেবে আমি বলব, আমাদের বক্তব্য মানুষ গ্রহণ করল না । BJP-র কাছ থেকে দেশকে মুক্ত করার জন্য BJP হটাও, আর রাজ্য থেকে জঙ্গলরাজের অবসানের জন্য তৃণমূলকে হটাও - এই দু'টো স্লোগানের মধ্যে একটা স্লোগান মানুষ নিল । আর একটা নিল না । তারা ভরসা করল যে তৃণমূলকে হটাতে পারবে BJP । তাই তারা BJP-র কাছে চলে গেছে । কিন্তু আজ 7 শতাংশ আছে, কাল 27 শতাংশ হতে কোনও অসুবিধা নেই ।"
সুশান্ত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে বলেন, "আজ তৃণমূলের মুখ্যমন্ত্রীকে নিজের বিরুদ্ধে নিজেকে ধরনায় বসতে হচ্ছে । তাঁর সবচেয়ে যিনি ভালো অফিসার তিনি না কি ভারতবর্ষের সেরা অফিসার । সেই অফিসার (রাজীব কুমার) এখন CBI-র ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন । তাঁকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না । আমরা বাংলার মানুষ এই লজ্জা রাখব কোথায় ?"