দেগঙ্গা,17 সেপ্টেম্বর : ফের আমফান ক্ষতিপূরণ নিয়ে দুর্নীতি ও স্বজনপোষণের অভিযোগ। এরফলে তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষে উত্তাল উত্তর 24 পরগণার দেগঙ্গা । হামলা,মারধর ও ভাঙচুর কিছুই বাদ গেলনা । সংঘর্ষে গুরুতর জখম হয়েছে দুই মহিলা সহ ছ’জন। তাদের বিশ্বনাথ পৌরপ্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভরতি করা হয়েছে। খবর পেয়ে দেগঙ্গা থানার পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থানে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। দু'পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে দেগঙ্গা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,আমফান ক্ষতিপূরণ বন্টনে দুর্নীতি ও স্বজনপোষণ অভিযোগে বুধবারই দেগঙ্গার আমুলিয়া পঞ্চায়েতে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূলের একাংশ। মূলত পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্যদের নিকট আত্মীয়দের ক্ষতিপূরণের টাকা পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ তুলে সরব হন বিক্ষোভকারীরা। সেক্ষেত্রে প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তরা ক্ষতিপূরণের টাকা পাওয়া থেকে বঞ্চিত থাকেন বলে অভিযোগ।এনিয়ে প্রতিবাদ করেছিলেন পূর্ব চ্যাংদানা গ্রামের তৃণমূল কর্মী মিজানুর রহমান ও তাঁর পরিবার। প্রতিবাদ করার অপরাধে বৃহস্পতিবার বিকেলে আচমকাই পূর্ব চ্যাংদানা গ্রামের গোবরাপাড়ায় দলবল নিয়ে মিজানুরের বাড়িতে তাঁর বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর লোকজন হামলা চালায় বলে অভিযোগ। অভিযোগ, হামলার নেতৃত্বে ছিলেন স্থানীয় তৃণমূল কর্মী আজগার আলি মণ্ডল। বাড়ি লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোঁড়া হয়। ভাঙচুর করা হয় বাইকেও। লাঠিসোঁটা নিয়ে বাড়ির মহিলা ও পরিবারের সদস্যদের মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তুললে সংঘর্ষ বেঁধে যায় দু'পক্ষের মধ্যে। সংঘর্ষে উভয়পক্ষের মোট ছ'জন আহত হন। এদের মধ্যে দু'জন মহিলাও রয়েছে । আহতদের চিকিৎসার জন্য দেগঙ্গার বিশ্বনাথপুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভরতি করা হয়েছে। ঘটনার জেরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। পরে,দেগঙ্গা থানার পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থানে এসে দু'পক্ষকে হটিয়ে দেয় ৷ এরপরই পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয়।এই বিষয়ে মিজানুর রহমান বলেন,"আমফান ক্ষতিপূরণে দুর্নীতি ও স্বজনপোষণ নিয়ে পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছিলাম। আমি বলেছিলাম প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণের টাকা দেওয়া হোক। সেই কারণেই পরিকল্পনা করে আজগার আলি ও তার লোকজন হামলা চালিয়েছে"। যদিও মিজানুর ও তাঁর বাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে পাল্টা হামলার অভিযোগ তুলে আজগার আলি বলেন,"মিজানুর তাঁর বাড়ির সামনের রাস্তায় বাঁশের কঞ্চি ফেলে রাস্তা আটকে রেখেছিলেন। এর ফলে গ্রামের মানুষের যাতায়াতে অসুবিধে হচ্ছিল। সেই কথা বলতেই গ্রামের বেশ কয়েকজনের উপর হামলা চালানো হয়। মারধোর করা হয় ৷ " এই বিষয় নিয়ে দেগঙ্গা থানার পুলিশ জানিয়েছে,"দু'পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে। সেই অভিযোগ খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে"।