গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে উত্তপ্ত ভাটপাড়ায় চলল গুলি ব্যারাকপুর, 14 নভেম্বর: ফের প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। এবার সাংসদ-বিধায়কের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে আবারও উত্তপ্ত হয়ে উঠল ভাটপাড়া। চলল দু'পক্ষের মধ্যে গুলিও। তবে গুলি চালনার কথা অস্বীকার করেছে জগদ্দল থানার পুলিশ। সূত্রের খবর, সোমবার রাতে সাংসদের বাড়ির কাছে মেঘনা মোড় এলাকায় অর্জুন সিংয়ের আত্মীয় সঞ্জয় সিংয়ের সঙ্গে 18 নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর সুনিতা সিংয়ের ছেলে নমিত সিংয়ের গণ্ডগোল বাঁধে। তখনই দু'পক্ষ একে অপরের দিকে গুলি চালায় বলে অভিযোগ। গণ্ডগোলের জেরে মঙ্গলবার কাউন্সিলর-পুত্র নমিত সিং-সহ দু'পক্ষের মোট 9 জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ধৃত নমিত সিংকে ছাড়াতে মঙ্গলবার দলের কয়েকজন জনপ্রতিনিধিকে সঙ্গে নিয়ে জগদ্দল থানায় যান তৃণমূল বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম। যা ঘিরে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। যদিও এর মধ্যে কোনও অন্যায় দেখছেন না জগদ্দলের বিধায়ক। উলটে কাউন্সিলর-পুত্রকে ফাঁসানোর চক্রান্ত করছেন তিনি। ঘটনার সূত্রপাত, তৃণমূল কাউন্সিলর সুনিতা সিংয়ের নামে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ দেওয়াকে কেন্দ্র করে। যার প্রতিবাদ করেন কাউন্সিলর পুত্র নমিত সিং। এরপরই গণ্ডগোল বেঁধে যায় সাংসদ অর্জুন সিং এবং বিধায়ক সোমনাথ শ্যামের অনুগামীদের মধ্যে।
সেই সময় দু'পক্ষই একে অপরের দিকে গুলি চালানোর অভিযোগ করে। গণ্ডগোলের খবর পেয়ে মেঘনা মোড় এলাকায় পৌঁছয় জগদ্দল থানার পুলিশ। দু'পক্ষকে হটাতে গেলে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছোড়া হয়ে বলেও অভিযোগ উঠেছে। জানা যায়, সাংসদ অর্জুন সিং এবং জগদ্দলের তৃণমূল বিধায়ক সোমনাথ শ্যামের বিবাদ দীর্ঘদিনের। বিজেপি ছেড়ে নিজের পুরনো দল তৃণমূলে ফিরে আসার পরও অর্জুন সিংয়ের সঙ্গে সোমনাথ শ্যামের বিবাদ কিন্তু এতটুকু কমেনি। তা বিভিন্ন ইস্যুতে বারেবারে প্রকাশ্যে এসেছে।
যেমনটা বিধায়ক ঘনিষ্ঠ কাউন্সিলর সুনিতা সিংয়ের ছেলে নমিত সিংকে গ্রেফতারের ঘটনাতেও সামনে এল। যদিও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নয়, এর পিছনে সাংসদের আত্মীয় তথা বিজেপি নেতা সঞ্জয় সিংয়ের হাত রয়েছে বলে দাবি করেছেন জগদ্দলের তৃণমূল বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম। এদিকে, বিধায়ক গেলেও পুলিশ ছেড়ে দেয়নি কাউন্সিলর-পুত্র নমিত সিংকে। আর এ বিষয়ে সংবাদমাধ্যমে ক্ষোভও প্রকাশ করেন তৃণমূল বিধায়ক ৷ যদিও এই বিষয়ে সাংসদ অর্জুন সিং কিংবা তাঁর আত্মীয় বিজেপি নেতা সঞ্জয় সিংয়ের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। অন্যদিকে, এই ঘটনায় পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্তে নেমেছে। ধৃত 9 জনকে এদিনই ব্যারাকপুর মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:
- জয়নগরকাণ্ডে প্রকাশ্যে সিসিটিভি ফুটেজ, নজরে সন্দেহভাজন বাইক আরোহীরা
- জয়নগরে পুলিশের বাধার মুখে সুজন-নওশাদ, পুলিশের সঙ্গে বচসা ও ধস্তাধস্তি
- আইন থাকা সত্ত্বেও কেন পিটিয়ে হত্যা ? বিচারের দাবি সাহাবুদ্দিনের পরিবারের