কলকাতা, 30 জুন : "ভাটপাড়া, ব্যারাকপুরকে আমরাই শান্ত করব । কেউ যদি অশান্ত করার চেষ্ট করে আমরা তাদের বুঝে নেব ।" ভাটপাড়া ইশুতে একথা বললেন দিলীপ ঘোষ । ভাটপাড়ার তৎকলীন বিধায়ক অর্জুন সিং তৃণমূল ছেড়ে BJP-তে যোগ দেওয়ার পর থেকেই এলাকায় অশান্তির শুরু হয়েছে । গুলি, বোমাবাজি এখন সেখানে প্রায় রোজকার বিষয় হয়ে উঠেছে । শক্তহাতে পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের পদ থেকে তন্ময় রায়চৌধুরিকে সরিয়ে সেখানে আনা হয়েছে এককালের দাপুটে পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মাকে । প্রতিদিনই শান্তি ফেরাতে কোনও না কোনও দল এলাকায় মিছিল করলেও খুব একটা স্বস্তি নেই এলাকাবাসীর মনে । এর মধ্যে গতকাল BJP-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ভাটপাড়ার অশান্তির জন্য মমতার সমালোচনা করলেন ।
ভাটপাড়ায় আমরাই শান্তি ফেরাব, কেউ অশান্তি করতে এলে বুঝে নেব : দিলীপ
গুলি, বোমাবাজি এখন ভাটপাড়ার প্রায় রোজকার বিষয় হয়ে উঠেছে । প্রতিদিনই শান্তি ফেরাতে কোনও না কোনও দল এলাকায় মিছিল করলেও খুব একটা স্বস্তি নেই এলাকাবাসীর মনে । এর মধ্যে গতকাল BJP-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ
দিলীপ ঘোষ আরও বলেন, "ভাটপাড়ায় কবে শান্তি ফিরবে সেটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলতে পারবেন । ভাটপাড়ায় এমন অবস্থা যেখানে DG ঢুকতে পারছেন না । মানুষ কার উপর ভরসা করবে? কোন দিকে তাকিয়ে থাকবে ? আজ পুলিশমন্ত্রী বলতে বাধ্য হচ্ছে পুলিশ আমার কথা শোনে না । পুলিশ দিয়ে BJP-কে কেস দেওয়া হয় । পুলিশ দিয়ে বিরোধীদের ঠেঙাবেন, তাদের দিয়ে তোলা তুলবেন - বালির টাকা, কয়লার টাকা, পাথরের টাকা, গোরুর টাকা । তাই পুলিশকে ধরে সবাই পেটাচ্ছে । তারা বাঁচতেই এই কাজ করছে ।"
অন্যদিকে, হুগলিতে পঞ্চায়েত প্রধান খুন প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, "রাজ্যে যত খুন হয়েছে সমস্ত ঘটনার CBI তদন্ত হোক । কিন্তু তৃণমূলের দম নেই CBI তদন্ত করার । এই ঘটনাগুলো চাপা দেওয়ার জন্য রাজ্য সরকার CID তদন্ত করে । পুরোটাই ধামা চাপা দেওয়ার জন্য । রাজ্যে এত মানুষ খুন হয়েছে । প্রায় 150-এর বেশি মানুষ মারা গেছে । কিন্তু একটার কোনও তদন্ত রিপোর্ট বের হয়নি । খুন হওয়ার পাঁচ মিনিটের মধ্যে MLA কী ভাবে জেনে গেলেন যে খুন হয়েছে ? তা হলে আগে ওনাকে ডেকে জিজ্ঞাসা করা দরকার ছিল । আসলে ওখানে অনেক লোক BJP-তে যোগ দিতে চাইছিলেন । তাই তাকে আটকানোর জন্যই এই কাজ করা হয়েছে । যেখানেই খুন হচ্ছে BJP-র লোককে ডাকা হচ্ছে । কিন্তু BJP-কে কোথাও পাওয়া যাচ্ছে না । তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বটা এমন পর্যায়ে পৌঁছে গেছে যে সেটা এবার খুনের মাধ্যমে মেটানো হচ্ছে ।"