বীজপুর, 24 মে : 'গদ্দারের ছেলে ।' তকমাটা সেঁটে গেছিল গায়ে । চলতে ফিরতে শুনতে হত 'ও তো গদ্দারের ছেলে' । বড়-ছোটো-মেজো নেতারা এসে চিল-চিৎকার করে বলতেন, "কাঁচরাপাড়ায় গদ্দার আর তার ছেলে পিছন থেকে ছুরি মারছে ।" তবু, তিনি দল ছাড়েননি । বারবার আঘাত পেয়েও থেকে গেছেন মমতার কাছে । দিদির প্রিয় পাত্র হতে পারেননি । কিন্তু, দল অন্ত-প্রাণ শুভ্রাংশু দিদিকে ছেড়ে যাওয়ার কথাও ভাবেননি । এবার সময় বদলেছে । বিবেকের কাছে বারবার দগ্ধ হয়ে মন বদলাচ্ছেন শুভ্রাংশুও !
শেষ আঘাতটা এসেছিল মমতার সফরে । কাঁচরাপাড়ায় জনসভা করে মমতা বলেছিলেন, "গদ্দারের ছেলেকে বিশ্বাস করি না ।" কষ্ট পেয়েছিলেন । তবু, দলের স্বার্থে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে প্রচার করেছেন । মুকুলগড়ে দলকে লিড এনে দেওয়ার ভাবনা ছিল । বিষোদগার নয়, মিষ্টি হেসে ভোট চেয়েছিলেন । মানুষ রায় পরিবারে ভরসা রেখেছে । তবে, শুভ্রাংশুতে নয় ! অর্জুন-মুকুল জুটি এখানেও পেয়েছে স্টার মার্কস । এক কথায় বাবার কাছে হেরেছেন শুভ্রাংশু । তাতে অবশ্য তাঁর দুঃখ নেই । দুঃখ একটাই, মমতার আক্রমণ ।
আজ সাংবাদিক বৈঠক করেন শুভ্রাংশু । বলেন, "মমতা ব্যানার্জিকে আমি মমতাময়ী মা বলে মনে করতাম । কিন্তু, উনি এসে বলে গেলেন, গদ্দারের ছেলে । বিবেক দংশনে ভুগছি । বাড়িতে কথা শুনতে হচ্ছে । দলেও কেউ ভরসা করছে না । এটা কী ? দলের জন্য 100 শতাংশ দিয়েও গদ্দারের ছেলে আখ্যা পাচ্ছি ।" দল ছাড়ছেন কি ? মুকুলপুত্র বললেন, "বাবার সঙ্গে কথা বলি । পরিবারের সঙ্গে কথা বলি । দলে যারা আমাকে ভরসা করে, তাঁদের সঙ্গে কথা হোক । স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা কী বলে দেখি । তারপর না হয় সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে ।"