হাবড়া, 24 মে: নিজের বিধানসভা কেন্দ্র হাবড়ায় শুক্র ও শনিবার পরপর দু'দিন দুর্গত এলাকা পরিদর্শন করলেন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক । মন্ত্রীকে সামনে পেয়ে পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানালেন বাসিন্দারা । অভিযোগ পেয়ে প্রকাশ্যেই পঞ্চায়েত সদস্যকে ভর্ৎসনা করেন মন্ত্রী ।
হাবড়ায় দুর্গত এলাকা পরিদর্শন জ্যোতিপ্রিয়র, ভর্ৎসনা পঞ্চায়েত সদস্যকে - after effect of amphan
শুক্রবার ও গতকাল পরপর দু'দিন হাবড়ার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখেন মন্ত্রী জ্য়োতিপ্রিয় মল্লিক । কথা বলেছেন দুর্গতদের সঙ্গে । ক্ষতিপূরণের আশ্বাস দিয়েছেন ।
বুধবার ঝড়ের দিন থেকে বসিরহাটে কন্ট্রোল রুমে ছিলেন খাদ্যমন্ত্রী । শুক্রবার বসিরহাটে প্রশাসনিক বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । সেই বৈঠক শেষ হতেই জ্যোতিপ্রিয় সোজা চলে যান নিজের বিধানসভা কেন্দ্র হাবড়ায় । শুক্রবার ও গতকাল পরপর দু'দিন হাবড়ার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখেন । স্থানীয় কুমড়া কাশিপুর পঞ্চায়েতের বয়ারঘাটা ভারতীনগর কলোনি এলাকা আমফানের তাণ্ডবে লন্ডভন্ড । ক্ষতি হয়েছে 180টি পরিবারের । সেখানে খাদ্যমন্ত্রীকে দেখে স্থানীয়রা পঞ্চায়েত সদস্য গোপাল মণ্ডলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন । ক্ষতিপূরণ প্রাপকদের তালিকায় তাঁদের নাম নেই বলে মন্ত্রীকে অভিযোগ করেন ।
বাসিন্দাদের ক্ষোভ বুঝতে পেরে মন্ত্রী গাড়িতে বসেই বলেন, "গোপাল কোথায়?" গোপালবাবু এগিয়ে আসতেই জ্যোতিপ্রিয় ভর্ৎসনা করে বলেন, "পঞ্চায়েত সদস্য হিসেবে মানুষের কাজ সবার আগে করতে হবে । মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে।" পঞ্চায়েত সদস্য কিছু বলার চেষ্টা করেন । কিন্তু জ্যোতিপ্রিয় তাঁকে সাফ বলেন, "ঘূর্ণিঝড়ের পর ইচ্ছা করলে আমি সন্দেশখালি-মিনাখাঁয় পড়ে থাকতে পারতাম । কিন্তু আমি তা করিনি । আমি হাবড়ার বিধায়ক। তাই, সেখান থেকে আগে হাবড়ায় চলে এসেছি । তোমরা কেন পাড়ার লোকগুলির পাশে থাকতে পারবে না? আমি কোনও কথা শুনব না । দুর্যোগের সময় মানুষের পাশে আগে থাকতে হবে ।" গতকালও মন্ত্রী হাবড়ার 24টি ওয়ার্ড ঘুরে দুর্গত মানুষদের সঙ্গে কথা বলেছেন । ক্ষতিপূরণের আশ্বাস দিয়েছেন।