বারাসত, 5 জুন: ফুটবল যেন তাঁর হয়ে কথা বলে ! অনায়াসেই ফুটবল নিয়ে যে কোনও প্রান্তে বিচরণ করতে পারেন তিনি । তা মাথায় হোক কিংবা শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে । হেলিয়ে দুলিয়ে ফুটবল নিয়ে নানা ভঙ্গিমায় কেরামতি দেখানো তাঁর কাছে বা-হাতের খেল ! তিনি একজন ফুটবল জাগলার । নাম সরোজ বিশ্বাস ।
পড়াশোনার সঙ্গে এটাই এখন ধ্যান জ্ঞান হয়ে দাঁড়িয়েছে সরোজের কাছে । ইতিমধ্যে তাঁর ঝুলিতে রয়েছে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসের কৃতিত্ব । সেই কৃতিত্ব অর্জনের পর এবার গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম তুলে বিশ্ব দরবারে দেশের সুনাম বাড়াতে চান তিনি । সেই লক্ষ্যে নিরলস পরিশ্রম করে চলেছেন। শুধু কি তাই ! সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাঁর এই ফুটবল জাগলিং কাজে লাগিয়ে সুস্থ সমাজও গড়ে তুলতে বদ্ধপরিকর সরোজ ।
বারাসত পৌরসভার 13 নম্বর ওয়ার্ডের রামকৃষ্ণপুরে ভাড়া বাড়িতে থাকেন বছর 30-র এই যুবক । আদি বাড়ি উত্তর 24 পরগনার স্বরূপনগরের সীমান্তবর্তী গ্রাম গোয়াল বাথানে । বাবার পেশাগত কারণের জন্যই সপরিবারে তাঁদের চলে আসতে হয়েছে বারাসতে । যদিও বাবা সাগর বিশ্বাস চাকরি থেকে অবসর নিয়েছেন বছর কয়েক আগে । এখন অবসর সময়ে বড় ছেলে সরোজের ফুটবল জাগলিংয়ে সহযোগিতা করে থাকেন তিনি । মা গৃহবধূ । দম্পতির দুই ছেলে । ছোট ছেলে সন্দীপ বেঙ্গালুরুর একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক । বড় ছেলে সরোজ অবশ্য পিএইচডি করার পর বর্তমানে পোস্ট ডক্টোরাল রিসার্চ করছেন আমেরিকায় । পাশাপাশি ফুটবল নিয়ে চলে জাগলিং'ও। যা কার্যত এখন নেশায় পরিণত হয়েছে তাঁর ।
পড়াশোনার ফাঁকে নিয়ম করে ফুটবল জাগলিং নিয়ে অনুশীলন চলে সরোজের । তখন ব্যস্ততার যেন অন্ত থাকে না । নাওয়া খাওয়া ভুলে অনুশীলনেই মগ্ন থাকতে হয় তাঁকে । সেই পরিশ্রমের সুফলও পেয়েছেন । ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে নাম তুলে ইতিমধ্যে তাঁর ফুটবল জাগলিংয়ের সুনাম বাড়িয়েছেন সরোজ । 2020 সালে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস থেকে পাওয়া মানপত্র, মেডেল, শংসাপত্র-সহ আনুষাঙ্গিক যাবতীয় জিনিস এখনও জ্বলজ্বল করছে সরোজের ঘরে । অনুশীলনে যাওয়ার আগে সেগুলো নিয়ে মাঝেমধ্যেই নাড়াচাড়া করে থাকেন এই যুবক । যা বাড়তি অক্সিজেন জোগায় তাঁকে ।