গোপালনগর, 13 অগস্ট : পাথর ধারণ করলে পাওয়া যাবে চাকরি । সেই পাথর দেওয়ার নাম করে বাড়িতে ডেকে এক যুবতীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল ভুয়ো জ্যোতিষীর বিরুদ্ধে ৷ পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম শম্ভু চক্রবর্তী, বয়স 57 । নির্যাতিতার অভিযোগের ভিত্তিতে গতকাল তাকে গ্রেফতার করে গোপালনগর থানার পুলিশ ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শম্ভু চক্রবর্তী গোপালনগর থানার পাল্লার বাসিন্দা । বছর খানেক আগে হরিণঘাটা থানা এলাকায় এক যুবতীর সঙ্গে শম্ভুর পরিচয় হয় । সেই সময় সে ওই যুবতীর কাছে নিজেকে জ্যোতিষী বলে পরিচয় দেয় । দীর্ঘ দিন ওই যুবতী চাকরির জন্য বিভিন্ন ভাবে চেষ্টা করেও চাকরি পাচ্ছিলেন না । সেই সুযোগ কাজে লাগায় শম্ভু ।
আরও পড়ুন : Lakshmir Bhandar : অর্থের বিনিময়ে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ফর্ম বিক্রির অভিযোগ, গ্রেফতার 4
সে যুবতীকে পাথর ধারণ করার কথা জানিয়ে তার বাড়িতে ডাকে ৷ ভুয়ো জ্যোতিষী যুবতীকে জানায় যে, এই পাথর ধারণ করলে চাকরি পাবে সে । শুক্রবার যুবতী তার বাড়িতে আসেন । অভিযোগ, সেখানে ওই যুবতীকে ঠান্ডা পানীয়ের সঙ্গে কিছু মিশিয়ে খেতে দেয় অভিযুক্ত শম্ভু ৷ সেই পানীয় খেয়ে সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়ে সে । তখন যুবতীকে ধর্ষণ করে সে । পরে শম্ভুর নামে গোপালনগর থানায় অভিযোগ করেন নির্যাতিতা । তার অভিযোগের ভিত্তিতে শম্ভুকে গ্রেফতার করে পুলিশ ।
গোপালনগর, উত্তর 24 পরগনা বনগাঁ মহকুমা আদালতের আইনজীবী সমীর দাস বলেন, "হরিণঘাটার ওই যুবতীকে শম্ভু জ্যোতিষীর পরিচয় দিয়ে এর আগেও কয়েকবার পাথর দিয়েছে । গতকাল ফের তাঁকে পাথর দেওয়া ও ভাল কাজ দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে তার বাড়িতে ডাকে । নেশা হবে এমন কিছু খাইয়ে তাঁকে ধর্ষণ করে শম্ভু চক্রবর্তী । বিষয়টি স্থানীয়রা জানতে পেরে তাকে মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দেন ।" আইনজীবী জানান, এই যুবতীকে বিয়ে করার জন্য কয়েকদিন আগে সে তার স্ত্রীর গায়ে ইলেকট্রিক তার জড়িয়ে শক দিয়ে মেরে ফেলার চেষ্টা করেছিল ৷