বারাসত, 14 ফেব্রুয়ারি: এবার এমন খেলা হবে যে ভারতীয় জনতা পার্টি পশ্চিমবঙ্গে একটি আসনও পাবে না। শনিবার বারাসতে ইন্ডোর স্টেডিয়াম (ব্যাডমিন্টন)-এর উদ্বোধনে এসে এভাবেই গেরুয়া শিবিরকে প্রচ্ছন্ন হুঁশিয়ারি দিলেন তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার। এদিন বিকেলে নিজের সংসদীয় এলাকা বারাসতে ওই স্টেডিয়ামের উদ্বোধন করেন সাংসদ। সঙ্গে ছিলেন স্থানীয় বিধায়ক চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তীও৷
এদিন সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে কাকলি বলেন,‘‘খেলা শুরু হয়ে গেছে। বলে বলে উইকেট পড়বে ভারতীয় জনতা পার্টির। এমন খেলা হবে যে পশ্চিমবঙ্গে একটি আসনও পাবে না ভারতীয় জনতা পার্টি৷’’
এদিন দেবী দুর্গা সম্পর্কে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের মন্তব্যেরও তীব্র সমালোচনা করেন তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার। তিনি বলেন,‘‘বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলছেন কে দুর্গা? তিনি মা দুর্গার নাম জানেন না! আবার তিনি মা দুর্গার চোদ্দ পুরুষের ইতিহাস জানতে চাইছেন !কত বড় স্পর্ধা! মা দুর্গাই ওঁদের বধ করবেন৷’’
রাজ্যসভার সাংসদ পদ ছাড়ার সময় দীনেশ ত্রিবেদী মন্তব্য করেছিলেন, তাঁর অন্তরাত্মার ডাকে সাড়া দিয়েই তিনি ইস্তফা দিতে চান। সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর তৃণমূল দলের সঙ্গেও সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করেন দীনেশ ত্রিবেদী। এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার বলেন, ‘‘কত-তে ওঁর (দীনেশ ত্রিবেদীর) অন্তরাত্মা জাগল? গিয়ে সেটাই জিজ্ঞাসা করুন। তাহলেই বুঝতে পারবেন৷’’ অর্থাৎ কাকলির বার্তা, বিজেপির সঙ্গে আর্থিক বোঝাপড়া করেই তৃণমূল ছেড়েছন দীনেশ৷
আরও পড়ুন:রাজ্যের 50% পোলিং বুথ সংবেদনশীল, বিশেষ সুরক্ষার ব্যবস্থা কমিশনের
প্রসঙ্গত, বারাসতের এই ইন্ডোর স্টেডিয়ামটি তৈরি করতে ৬৫ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। যার মধ্যে তৃণমূল সাংসদের সাংসদ তহবিল থেকে দেওয়া হয়েছে ৩০ লাখ টাকা। বাকি টাকা স্থানীয় বিধায়কের বিধায়ক তহবিল ও রাজ্য সরকারের তরফে খরচ করা রয়েছে। যে জমিতে এই স্টেডিয়াম গড়ে উঠেছে, সেটি রাজীব পাল নামে স্থানীয় এক ব্যক্তি দান করেছেন। তাই ইন্ডোর স্টেডিয়ামটির নামকরণ করা হয়েছে তাঁর প্রয়াত ঠাকুরমা ইন্দুরেখার নামে। উদ্বোধনের পর স্টেডিয়ামের ব্যাটমিন্টন কোর্টে সাংসদ ও বিধায়ককে একসঙ্গে খেলতেও দেখা যায়৷