বসিরহাট, 19 অগস্ট : ব্লক সভাপতি পরিবর্তন হতেই ফের বসিরহাটে প্রকাশ্যে চলে এল তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল । দলের নতুন ব্লক সভাপতিকে মেনে নিতে না পারায় গণইস্তফার পথে হাঁটতে চলেছেন অপসারিত ব্লক সভাপতি ঘনিষ্ঠ একাধিক নেতা-নেত্রীরা । সাতটি পঞ্চায়েতের অন্তত 123 জন দলীয় নেতা-নেত্রী দলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে পদ ছাড়তে চেয়ে তৃণমূল নেতৃত্বের কাছে লিখিত আকারে জানাবেন বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন । এই তালপকায় অপসারিত ব্লক সভাপতি শাহানুর মণ্ডল ঘনিষ্ঠ প্রধান, উপপ্রধান পঞ্চায়েত সদস্যরা যেমন আছেন, তেমনই পঞ্চায়েত সমিতির কয়েকজন পদাধিকারীরাও রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে । আর এই ঘটনাকে ঘিরে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে তৃণমূলের অন্দরে । যদিও যাঁর পদ পাওয়া নিয়ে বসিরহাট তৃণমূল এখন সরগরম, সেই ব্লক সভাপতি নজরুল হক অবশ্য বিষয়টিতে গুরুত্ব দিতে নারাজ । দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে যাঁরা এই কাজ করছেন, তাঁরা একদিন নিজেদের ভুল বুঝতে পারবেন বলে মনে করেন তিনি ।
সোমবারই 'এক ব্যাক্তি,এক পদ'-কার্যকর হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসে । সেই নীতি মেনে আমূল বদল ঘটানো হয়েছে দলীয় সংগঠনে । কোপে পড়েছেন মন্ত্রীত্ব সামলানো একাধিক জেলার তৃণমূল সভাপতিরা । শুধু তাই নয়,পরিবর্তন করা হয়েছে বিভিন্ন জেলার ব্লক এবং শহর সভাপতিকেও । তার থেকে ব্যতিক্রম হয়নি উত্তর 24 পরগণা জেলাও । এখানেও জেলা সভাপতি থেকে শুরু করে বিভিন্ন ব্লক এবং শহর সভাপতিদের সরিয়ে নতুন প্রজন্মের হাতে দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়েছে । সেই নিরিখে পদ খোয়াতে হয়েছে বসিরহাট 1 নম্বর ব্লকের তৃণমূল সভাপতি ও জেলা পরিষদ সদস্য শাহানুর মণ্ডলকে । তার জায়গায় দায়িত্ব পেয়েছেন বসিরহাটের বিশিষ্ট আইনজীবী নজরুল হক । আর এতেই প্রকাশ্যে চলে এসেছে শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব । নতুন ব্লক সভাপতিকে মানতে নারাজ অপসারিত ব্লক সভাপতি ঘনিষ্ঠ নেতা-নেত্রীরা । রীতিমতো দলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছে তাঁরা।