পুরুলিয়া, 3 এপ্রিল : ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলার খুনে গ্রেফতার নিহত তপন কান্দুর দাদা নরেন কান্দু ও মহম্মদ আসিফ খানকে তোলা হল পুরুলিয়া জেলা দায়রা আদালতে । 14 দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিলেন বিচারক । পারিবারিক বিবাদের জেরে এই খুন বলে মনে করছে জেলা পুলিশ । ভাড়াটে খুনি লাগিয়ে তপন কান্দুকে খুন করানো হয়েছে, প্রাথমিক তদন্তে অনুমান পুলিশের (Purulia Sessions Court orders 14 days police remand to Naren Kandu and Asif Khan over Jhalda Councillor Tapan Kandu murder) ।
শনিবার, 2 এপ্রিল পুরুলিয়ার মফঃস্বল থানার ক্ষণিকা গেস্টহাউজ়ে জিজ্ঞাসাবাদের পর বিকেলেই নরেন কান্দু ও আসিফ খানকে গ্রেফতার করে বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) । তাদের ডাক্তারি পরীক্ষার পর আজ জেলা দায়রা আদালতে পেশ করে পুলিশ । নরেন কান্দু সম্পর্কে নিহত তপন কান্দুর দাদা তথা ধৃত দীপক কান্দুর বাবা । এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত চারজনকে গ্রেফতার করল জেলা পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দল ।
ধৃতরা নিহত তপন কান্দুর ভাইপো দীপক কান্দু, নিহত তপন কান্দুর দাদা নরেন কান্দু, কলেবর সিং এবং মহঃ আসিফ খান । দীর্ঘদিন ধরে তপন কান্দু ও তাঁর দাদা নরেন কান্দুর মধ্যে পারিবারিক বিবাদ ছিল । কয়েক বছর আগে থেকে ভাইকে হত্যার ছক কষা চলছিল বলে মনে করছে পুলিশ । সদ্য পৌরসভা নির্বাচনেও ঝালদা পৌরসভার 2 নম্বর ওয়ার্ড থেকে একে অপরের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতাও করেন কংগ্রেস প্রার্থী তপন কান্দু এবং ধৃত নরেন কান্দুর ছেলে তৃণমূল প্রার্থী দীপক কান্দু । ফলাফল ঘোষণায় জয়ী হন তপন কান্দু ।