পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / state

Trident Lamp Corruption: 'অকেজো' ত্রিফলা বিক্রির বরাতেও দুর্নীতি ? কাঠগড়ায় পুরুলিয়া পৌরসভা

'অকেজো' হয়ে যাওয়া ত্রিফলা আলো বিক্রি করে দিচ্ছে পুরুলিয়া পৌরসভা (Purulia Municipality) ৷ সেই প্রক্রিয়াতেও এবার দুর্নীতির অভিযোগ (Trident Lamp Corruption) উঠল ৷ অস্বীকার পৌর প্রশাসনের ৷

By

Published : Mar 25, 2023, 1:13 PM IST

corruption charges against Purulia Municipality in Trident Lamp tender
ত্রিফলা বিক্রিতে দুর্নীতির অভিযোগ

কাঠগড়ায় পৌর কর্তৃপক্ষ

পুরুলিয়া, 25 মার্চ: 'অকেজো' হয়ে যাওয়া ত্রিফলা আলোর নিলামকে কেন্দ্র করে দুর্নীতির অভিযোগ ! কাঠগড়ায় তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত পুরুলিয়া পৌরসভার চেয়ারম্যান-সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ (Purulia Municipality Trident Lamp Corruption) ৷ বিরোধীদের প্রশ্ন, কীভাবে বারবার পৌরসভার সমস্ত কাজের বরাত পাচ্ছেন 22 নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তথা স্থানীয় তৃণমূল নেত্রী আনোয়ারা বিবির ছেলে ? বিষয়টি নিয়ে বিরোধী বিজেপির সুরে সুর মেলাচ্ছেন তৃণমূল কাউন্সিলররাও ! যদিও সমস্ত অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছেন পৌরপ্রধান ৷ তাঁর দাবি, যা হয়েছে, নিয়ম মেনেই হয়েছে ৷

ত্রিফলা আলো ছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের প্রকল্প ৷ কিন্তু, শুরু থেকেই এই প্রকল্প নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে ৷ পরবর্তীতে নানা কারণে কলকাতা-সহ অন্য়ান্য শহর থেকে একে একে ত্রিফলা বাতিস্তম্ভ সরিয়ে ফেলা হয় ৷ একই পথে হাঁটে পুরুলিয়া পৌর প্রশাসনও ৷ পৌরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, 'অকেজো' ত্রিফলাগুলি কেজি দরে বিক্রি করে দেওয়া হয় ! সেই কাজের বরাত পান আনোয়ারা বিবির ছেলে ৷ আর এখানেই প্রশ্ন তুলেছেন পুরুলিয়া পৌরসভার বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি কাউন্সিলর প্রদীপ মুখোপাধ্যায় ৷

প্রদীপের বক্তব্য, সমস্ত নিয়ম মেনে নিলামে অকেজো ত্রিফলা বিক্রির বরাত দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করছে পৌর কর্তৃপক্ষ ৷ কিন্তু, সেই বরাত বৈদ্যুতিক বিভাগের দায়িত্বে থাকা 'চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিল' আনোয়ারা বিবির ছেলে শেখ শাহিদই কীভাবে পেলেন ? বিরোধী দলনেতার অভিযোগ, অসাধু যোগসাজশে এই কাজের বরাত পেয়েছেন শেখ শাহিদ ৷ সংশ্লিষ্ট নিলামের দায়িত্বে ছিলেন তাঁর মা ! কাজেই গোপনে কোনও বোঝাপড়ার করার পর যদি পৌরসভা দাবি করে, নিলাম প্রক্রিয়া স্বচ্ছভাবে করা হয়েছে, তাহলে তা নিয়ে প্রশ্ন থাকেই ৷

লক্ষ্যণীয় বিষয় হল, পৌরসভার তৃণমূল কাউন্সিলরদের মধ্যে বেশ কয়েকজনও বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছেন ৷ তাঁদের মধ্যে অন্য়তম 21 নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রবিশংকর দাস ৷ তিনি জানান, ত্রিফলা বাতিস্তম্ভগুলি যে ধাতু দিয়ে তৈরি করা হয়েছে, সেগুলি অত্যন্ত দামি ৷ তাছাড়া, সব আলো অকেজো ছিল, এমনটাও নয় ৷ চাইলে সেগুলি একটু সারিয়ে অন্য়ত্র ব্যবহার করা যেত ৷ পৌরসভা সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, আগেও এখানকার একাধিক কাজের বরাত পেয়েছেন শেখ শাহিদ ৷ কীভাবে বারবার এমন ঘটনা ঘটছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন তৃণমূল কাউন্সিলররাই ৷ যদিও শেখ শাহিদের দাদা শেখ সাবিরের দাবি, তাঁর ভাই সমস্ত নিয়ম মেনেই পৌরসভার কাজের বরাত পেয়েছেন ৷

আরও পড়ুন:ত্রিফলা অতীত ! খরচ কমাতে একফলা লাগাতে উদ্যোগী কেএমসি

নিয়ম মেনে টেন্ডার দেওয়ার কথা বলেছেন পৌরপ্রধান নবেন্দু মাহালিও ৷ তিনি জানান, আইন মেনে টেন্ডার ডাকা হয় ৷ তাতে মোট পাঁচজন অংশগ্রহণ করেন ৷ নিলামের আগে তাঁরা সকলেই 3 লক্ষ টাকা জমা দেন ৷ কোনও অনিয়ম হয়নি ৷ বিরোধীদের অভিযোগ ভিত্তিহীন ৷ বিষয়টি নিয়ে তৃণমূল কাউন্সিলরদের একাংশ মুখ খোলায় এ নিয়ে অসন্তোষও প্রকাশ করেছেন পৌরপ্রধান ৷

ABOUT THE AUTHOR

...view details