পুরুলিয়া, 21 জানুয়ারি:"আমার স্বামীর স্বপ্ন পূরণ হয়েছে । ঝালদাবাসীর জয় হয়েছে ।" আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী ঝালদা পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন হওয়ার পরই আবেগঘন হয়ে বললেন পূর্ণিমা কান্দু । শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্ট 16 জানুয়ারি নির্বাচিত চেয়ারম্যানকে সরানোর নির্দেশের ওপর স্থগিতাদেশ দেয় ৷ পরবর্তী নির্দেশ জারি না হওয়া পর্যন্ত কংগ্রেস কাউন্সিলর পূর্ণিমা কান্দুকে চেয়ারপার্সন হিসাবে দায়িত্ব সামলাতে বলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা ৷ এরপরই শনিবার ঝালদার পৌরপ্রধানের দায়িত্ব নিলেন কংগ্রেস কাউন্সিলর পূর্ণিমা কান্দু (Congress councilor Purnima Kandu) ।
পৌরপ্রধানের চেয়ারে বসার পরই আদালতকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, "ঝালদাবাসীর জয় হয়েছে । অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমরা জয়লাভ করেছি । তৃণমূল অন্যায়ভাবে বোর্ড দখল করার চেষ্টা করলেও কোন লাভ হয়নি । দীর্ঘদিন ধরে উন্নয়নের কাজ বন্ধ হয়েছিল ঝালদা পৌরসভায় । এবার উন্নয়নের দিকে নজর দেওয়া হবে ৷ প্রতিটি ওয়ার্ডের অসম্পূর্ণ কাজ সম্পূর্ণ করা হবে । বিরোধীরা যদি উন্নয়নের কাজে সঙ্গ দিতে চায় তাহলে তাদের নিয়ে চলতে রাজি ।" পূর্ণিমা কান্দু তাঁর জয় মৃত স্বামী তপন কান্দুকে উৎসর্গ করেন ৷ তিনি বলেন, "এই জয় স্বামীকে উৎসর্গ করলাম । এই জয় স্বামীর জয় এবং ঝালদাবাসীর জয় ।"
প্রসঙ্গত, বিগত পৌর নির্বাচনের পর থেকেই ঝালদার বোর্ড দখলকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরেই টানাপোড়ন চলছে কংগ্রেস ও তৃণমূলের মধ্যে । বিষয়টি গড়ায় উচ্চ আদালত পর্যন্ত । অবশেষে কলকাতা হাইকোর্টের তরফে সাময়িকভাবে ঝালদা পৌরসভার পৌর প্রধানের পদে নিযুক্ত করা হয় কংগ্রেস কাউন্সিলর পূর্ণিমা কান্দুকে । আর এরপরেই খুশির আমেজ কংগ্রেস শিবিরে । কংগ্রেস নেতা,কর্মী-সমর্থকরা স্লোগানের মধ্য দিয়ে পূর্ণিমা কান্দুকে ঝালদা পৌরসভায় নিয়ে আসেন । ঝালদা পৌরসভার দায়িত্বভার নিয়ে পৌরপ্রধানের চেয়ারে বসেন তিনি ।
উল্লেখ্য, গত পৌর নির্বাচনে 12 আসন বিশিষ্ট ঝালদা পৌরসভায় কংগ্রেস 5, তৃণমূল 5 এবং নির্দল 2টি ওয়ার্ডে জয়লাভ করে । 13 মার্চ খুন হন 2 নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু । 2 নির্দল কাউন্সিলরের সমর্থন পেয়ে বোর্ড গঠন করে তৃণমূল । 13 অক্টোবর ঝালদার পৌরপ্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা ডাকে কংগ্রেস । শীলা চট্টোপাধ্যায় তৃণমূল ত্যাগ করেন । 21 নভেম্বর আস্থা ভোটে 7-0 ভোটে জয়লাভ করে কংগ্রেস । বোর্ড হাতছাড়া হয় তৃণমূলের ।